রাজীব বসু: জাবটিকাবা একটি ফলের নাম আর এটি জন্মে ব্রাজিলে। ফলটি সেদেশে বেশ জনপ্রিয়। মিষ্টি ও টকযুক্ত ফলটি মুখরোচকও। জাবটিকাবা দেখতে অনেকটা বরই ফলের মতো। আকৃতি একই রকম। গাছটি বহু শাখাবিশিষ্ট। ডালপালাও বেশ শক্ত। পেয়ারা গাছের মতোই শুকিয়ে গেলে এর ছাল-বাকল উঠে আসে। পাতা দেখতে অনেকটা কামরাঙ্গা ফলের মতো। শীতের পরই গাছজুড়ে ফুল আসে। এর কাঁচা ফল সবুজ হয়। পাকলে চকচকে খয়েরি রঙ ধারণ করে। ফলের শাঁস বেশ নরম। ভেতরে বেগুনি-লাল রঙের দুটি বীজ থাকে। এ ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে।
জাবটিকাবার পুষ্টি উপাদানঃ প্রতি ১০০ গ্রামে : জলীয় অংশ ৮৭ গ্রাম, হজমযোগ্য অাঁশ ০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৫ কিলোক্যালরি, আমিষ ১ গ্রাম, চর্বি ০.০১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬.৩ মিলিগ্রাম, লোহা ০.৪৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ২২ মিলিগ্রাম।
জাত : বাংলাদেশে কোনো অনুমোদিত জাত নেই।
উৎপাদিত এলাকা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
ফল : হালকা সুগন্ধযুক্ত টক-মিষ্টি প্রকৃতির।
জাবটিকাবা ধীর বৃদ্ধিসম্পন্ন চিরসবুজ বৃক্ষ। এটি সামান্য অমস্নীয়, আর্দ্র মাটি পছন্দ করে। তবে ক্ষারীয় মাটিতেও জন্মে যদি সেচব্যবস্থা ঠিকমতো করা হয়। এর ফুল সাদা। যদি চাষাবাদ না করা হয় তবে বছরে দু-এক বার ফুল ধরে, তবে সঠিকভাবে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করলে সারা বছরই ফল ধরে। ফল দেখতে কালো আঙুরের মতো। এটি ব্রাজিলিয়ান আঙুর নামে পরিচিত। প্রায় তিন-চার মিলিমিটার ব্যাসের হয়ে থাকে। ব্রাজিলের বাজারে এটি খুব প্রচলিত।
ঔষধি গুণ
তাজা ফল সংগ্রহের তিন-চার দিন পর গাজন প্রক্রিয়ায় পচিয়ে জ্যাম, মদ, লিকার তৈরি করা যায়। তবে তাজা জাবটিকাবা বাজারে খুব কমই পাওয়া যায়। এর চামড়া সূর্যে শুকিয়ে খেলে হেমোপটাইসিস, অ্যাজমা, ডায়রিয়া ও টনসিলের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
লেখকঃ রাজীব বসু বিসিএস (কৃষি)
কৃপ্র/ এম ইসলাম