কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলায় এবার আমনের ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সারের সুষম ব্যবহারের কারণে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। ফলে, এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুঠেছে হাসি।
কাউখালী সদর ইউনিয়নের জয়কুলসহ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আমনক্ষেতে বইছে সবুজের সমারোহ। লকলকে বেড়ে ওঠা আমনক্ষেতে বাতাসের দোলায় কৃষকের বুকে শিহরণ জাগে। গাঢ় সবুজের শিহরণে কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠছে তৃপ্তির হাসি। এখন শুধু আমনের বাম্পার ফলন ঘরে তোলার স্বপ্নে কৃষক বিভোর হয়ে আছে। গুনছে অপেক্ষার প্রহর।
মোট কথা কাউখালীসহ উপকূলের সর্বত্র এবছর আমনের বাম্পার ফলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গাঢ় সবুজের আমনক্ষেতের কোথাও কোথাও ধানের শীষ বের হয়েছে। কোথাও বের হওয়ার পথে। আবার কোথাও সোনালী রঙের আভা ছড়াচ্ছে। শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জোলাগাতী এলাকার কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, এ বছর মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল।এবারে পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন ছিল না। এতে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা বেশ লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় এবার চার হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এবার আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার১’শত মেট্রিক টন ধান। শেষ পর্যন্ত তা ১৫ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি, আর কোন রোগ বালাই কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না হানলে এ বছর কাউখালীতে বাম্পার ফলন হবে। প্রকৃতি এখন পর্যন্ত কৃষকের পক্ষেই রয়েছে বলে শতকরা ৯০ ভাগ কৃষকের অভিমত।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের চোখেমুখে স্বস্তির ছাপ। মুখে হাসির ঝিলিক। কেউবা ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রকৃতি যেন এ বছর তাদের জন্য আশীর্বাদ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরীফ বলেন, মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানের ফলে গত বছরের তুলনায় এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ধান বেশি উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম