কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ড্রেজিংয়ের অভাবে এক সময়ের খরস্রোতা ধরলা নদী এখন ধু-ধু বালুচর। যতদূর চোখ যায় শুধু বালু আর বালু। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে জীব বৈচিত্র্যে। বেকার হয়ে পড়েছে হাজারো মৎস্যজীবী।
কুড়িগ্রাম জেলার ধরলার অর্ধ শতাধিক চরের মৎস্যজীবী অলস সময় জাল বুনছে। নদীতে পানি না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে পাঁচ সহস্রাধিক মৎস্যজীবী। এই নদীর বুক চিরে ধু-ধু বালুচর। পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ড্রেজিং না করায় বর্ষা মৌসুমে নদীর পাড় উপচে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে হাজারো পরিবার। নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার একরের ফসল।
তারা আরও জানান, বর্ষার পানি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রবেশ করে হাজার হাজার একর আবাদী জমি বালু চরে পরিণত হয়। এতে কুড়িগ্রামে কৃষি জমির পরিমাণ সঙ্কুচিত হচ্ছে এবং উৎপাদন দারুণ ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে, ধরলা নদীতে পানি না থাকায় মালবাহী নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শওকত আলী সরকার জানান, ধরলা নদীতে পানির অভাবে চর পড়েছে।
দ্রত ড়্রিেজং দরকার। না হলে এই নদী একদিন হারিয়ে যাবে। তবে বিভিন্ন বালু চরে কৃষকদের সরকারী উদ্যোগে তরমুজ, কাকরি, বাঙ্গি, কাউন ও গমের আবাদে উৎসাহী করলে কৃষিজীবীদের আয়ের অন্যতম উৎসে পরিণত হবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম