কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার অর্ধ শতাধিক স্কুল জলাবদ্ধতার কবলে। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে ও আশে পাশের বসতবাড়িতে পাঠ দান চলছে। গত ৪ মাস ধরে চলছে জলাবদ্ধ কারণে এভাবে ক্লাস চলছে। এতে শিক্ষার্থীরা অন্যান্যস্থানের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। এ কারণে কিছু অভিভাবক তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ছেলে-মেয়েদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন তালা উপজেলার গঙ্গারামপুর, গোনালী, হরিচন্দ্রকাটি, কানাইদিয়া, খরাইল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বসতভিটার পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে আছে। গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের মধ্যে পানি, তাই পার্শ্ববর্তী একটি ধানের চাতালে চলছে পাঠদান।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা প্রতিভা রানী ঘোষ জানান, স্কুল মাঠে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ৯৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর বিপরীতে ৩ জন শিক্ষিকা রয়েছেন। তবে বছরের পর বছর জলাবদ্ধ থাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এলাকার সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ছেলে-মেয়েদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এক শিক্ষিকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোনালী সরকারি বিদ্যালয়টি পানি বেস্টিত একটি দ্বীপের মত দাঁড়িয়ে আছে। ৫ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বসতবাড়িতে চলছে পাঠদান। এমন অবস্থায় প্রতি বছরের ৫/৬ মাস যাবত্ চলে পাঠদান কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষিকা লতিফা খানম জানালেন, সুপেয় পানিসহ স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে মারাত্মক সংকট চলে আসছে এ ক’মাস। তালা ট্যেকনিকাল কলেজ কক্ষে এখনও পানি। তালা উপজেলা সদরের একটি ভাড়া ভবনে চলছে ক্লাস।
শিক্ষা অফিসের হিসাব মতে এ বছর কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানিতে তালা উপজেলার ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৩টি কলেজ জলাবদ্ধতা হওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তালা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওহিদুল ইসলাম জানান, ‘উপজেলা বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় জলাবদ্ধতার কবলে থাকায় শিশুদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটেছে। তবে আমরা বিপদকালীন সময়ে অন্যত্র ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম