কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে দারিদ্র্য কোন বাধা নয়, নিজেদের ইচ্ছা শক্তি যথেষ্ট সেটা প্রমাণ করেছেন পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের নূরুল-পারুল দম্পতি। দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও তারা ঘানি(তেল) টেনে ছেলেকে পড়াচ্ছেন বেসরকারি একটি মেডিক্যাল কলেজে। আর মেয়ে পড়ছে স্থানীয় উচ্চ মাধ্যমিক একটি প্রতিষ্ঠানে।
ছেলেটি ২০০৯ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে পাইকগাছা কলেজ থেকে জিপিএ -৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। এরপর খুলনার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গরীব ও মেধাবী কোটায় ভর্তি হয়। বর্তমানে মেডিক্যালে শেষ বর্ষের ছাত্র।
গর্বিত বাবা নূরুল হক গাজী জানান, সহায়সম্বল বলতে দুই শতক জমির উপর বসতবাড়ি ছাড়া আর কিছু নাই। দিনমজুর ও ঘানি টেনে চালাতে হয় সংসার। কিন্তু অভাবের কারণে গরু কেনারও সামর্থ্য নাই। তাই বাধ্য হয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনই ১৫ বছর যাবত্ ঘানি টানার কাজ করে আসছি।
বাজার থেকে সরিষা কিনে এনে মাড়াই করে তেল তৈরি করি। প্রতিবার সাড়ে চার কেজি সরিষা মাড়াই করতে প্রায় চার ঘণ্টা দুই মণ ওজন বোঝাই দেওয়া ঘানি টানতে হয়। প্রতি কেজি সরিষায় ৩শ মি.লি তেল হয়। যা বাড়িতে বসেই ২৫০ টাকা লিটার প্রতি বিক্রি করা হয়। এতে খরচ বাদে ১৫০ টাকার মতো লাভ হয়।
জীবন কষ্টের হলেও ছেলে-মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে ভেবে নিজেদের গর্বিত বাবা-মা মনে করেন তারা। তবে হতদরিদ্র নূরুল পরিবারের পাশে সমাজের হূদয়বান ব্যক্তিরা সহযোগিতার হাত বাড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা- পারুল, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পাইকগাছা শাখা, খুলনা। সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৯৪৬০।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/ এম ইসলাম