কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ এক ফসলি জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও গ্রামীণ নারীরা গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি আয়বর্ধনমূলক কাজ করায় সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। এ অঞ্চলের পরিবারগুলোর অধিকাংশই নিরক্ষর-অল্পশিক্ষিত। এখন হাওড়াঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় এখন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
হতদরিদ্র নারীরা পশুপালন, সেলাই ও মুদি মনোহরি ব্যবসা করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। তারা দলগতভাবে পপি-রিকলের সহযোগিতায় নারীর প্রতি সহিংসতার উন্নয়ন এবং এলাকার স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এসব কর্মকা-ে এ অঞ্চলের মানুষদের এখন দিনবদলের স্বপ্নের হাতছানি দিচ্ছে। হাওড় অধ্যুষিত নিকলীর ছাতিরচর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগুলো ঘুরে এসব চিত্রই দেখা গেছে।
গৃহবধূরা গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন গ্রামের বাজারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাবেচা করছে। এছাড়া সংসারে সচ্ছলতা আনতে দিনমজুর স্বামীর সঙ্গে সমানতালে নানা আয়বর্ধনমূলক কাজ করে যাচ্ছে। জানা গেছে, ভাঙনকবলিত এলাকা ছাতিরচর গ্রামের অল্পবয়সী অনেক মেয়ে শিশুর সচেতনতার অভাবে পরিণত বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে গেছে।
গত বছর এরূপ ৯৫টি বিয়ে হলেও এ বছর পপি-রিকল প্রকল্পসহ স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় গ্রামের সচেতন নারীদের চেষ্টায় মাত্র ৪৬টি বিয়ে হয়েছে। এ বিয়ের হার কমানোসহ সমাজে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ১৫৬ জনের সিবিও কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটি নারী ওয়াশদল, নারী আড্ডাদল, নারী কিশোর-কিশোরী ও শিশুদলে বিভক্ত হয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি ব্যবহার এবং বয়োঃসন্ধি বিষয়ক সচেতনতায় কাজ করছে। ছাতিরচর দক্ষিণ ও মধ্যপাড়া গ্রামের দিনমজুর শিশু মিয়ার স্ত্রী তাহেরা বানু ও আছমা জানান, স্বামীরা দিনমজুরের কাজ করে খুব কষ্টে সংসারের ঘানি টানতেন।
আগে তাদের নিজেদের কোন গরু ছিল না। পপি-রিকল প্রত্যেককে একটি গরু কিনতে সহযোগিতা করায় তারা ৬ থেকে ৪টি গরুর মালিক হয়েছে। সেই গরুর দুধ বিক্রি করে সন্তানদের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতে পারছেন।
কৃপ্র/ এম ইসলাম