কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নানা বর্ণের অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা। অতিথি পাখির আগমনে চিড়িয়াখানায় বিরাজ করছে এক আনন্দঘন পরিবেশ।চিড়িয়াখানার পরিবেশকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে অতিথি পাখির আগমন। পদ্ম শোভিত লেক ও উঁচু উঁচু গাছে এ পাখির সৌন্দর্য বাড়ছে। উপযুক্ত পরিবেশ আর নিরাপদ আশ্রয়ে এসব পাখি নির্ভাবনায় মেতে উঠেছে ।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসে হিমালয়ের উত্তরে শীত নামতে শুরু করে। তখন প্রচণ্ড তুষারপাতে টিকতে না পেরে পাখিরা একটু উষ্ণতার খোঁজে পাড়ি জমায় নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। মূলত ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ঝাঁকে-ঝাঁকে আসতে থাকে অতিথি পাখি। মার্চে গরম ফিরে এলে আবার পাখিরা ফিরে যায় সুদূর সাইবেরিয়া, হিমালয় অঞ্চল, মঙ্গোলীয়, নেপাল, চীন ও ভারতে।
লেকের পাড়ে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে অনেক সরালি ঝাঁক বেঁধে সাঁই সাঁই করে চলে।আবার ঝপাৎ করে বসে যাচ্ছে লেকের স্বচ্ছ পানিতে। কেউ বা সাঁতার কাটছে আপন মনে। সব চেয়ে বেশি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয় ভোরে। এ সময় পাখিরা ঝাঁক বেঁধে বসে থাকে লেকের চারপাশে। পাখিপ্রেমীরা আকর্ষণীয় এ দৃশ্য দেখার জন্য সেখানে যান। জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, এবার অতিথি পাখি তিন বছর পর চিড়িয়াখানায় আসল। অতিথি পাখিরা এখানে নিজেদের নিরাপদ মনে করে না বলেই তাদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দু-এক বছরের মধ্যে অতিথি পাখি দেখা নাও যেতে পারে। এ ছাড়া পাখি শিকারির কারণে অতিথি পাখির সংখ্যা দিন দিন কমছে। পাশাপাশি লেকের পাশ দিয়ে ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে যান চলাচল করায় পাখির আগমনের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম