কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি রবি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভুট্টার বাম্পার ফলন ও ন্যায্যমূল্য পেয়ে তারা ভুট্টা চাষে উৎসাহী হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) সূত্র মতে, ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে- ৬৪ হাজার ৭৬২ হেক্টর জমি। ইতোমধ্যে কৃষকরা ৩২ হাজার ৪৬৭ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ সম্পন্ন করেছেন। সূত্র মতে, বীজ বপন অব্যাহত রয়েছে। ডিএই’র হর্টিকালচার বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মেসবাউল ইসলাম বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও কৃষকদের আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে অবদান রাখায় ভুট্টা চাষ এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, মূল ভূখন্ডের পাশাপশি চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের বালু ও অনুর্বর জমিতে অর্থকরী ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ বাড়ানোর মাধ্যমে বিপুল মুনাফা উপার্জন করছেন।ডিএই চলতি মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলের আওতায় রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার ৬৪ হাজার ৭৬২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের মাধ্যমে চার লাখ ৬৩ হাজার টন ভুট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
মেসবাউল বলেন, চর ও নদীতীরের মানুষ ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও অন্যান্য নদীমাতৃক অঞ্চলের বিস্তীর্ণ চর এলাকা ভুট্টা চাষের আওতায় আনার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের দিনাজপুর হাবের সমন্বয়কারী আনারুল হক খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রবর্ধিত করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধির উজ্জল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বোরো চাষ কমিয়ে ও বিপুল পরিমাছ ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ করতে ভুট্টা ও গমের মত কম সেচের খাদ্যশস্যের চাষ বাড়াতে হবে। এছাড়া, এটা খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।’ আনারুল বলেন, স্বীকৃত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ ভুট্টার বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া, ভুট্টা থেকে তৈরিকৃত কোলেস্টেরল মুক্ত হৃদরোগীদের জন্য উপকারী। ডিএই’র রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, এই অঞ্চলে ভুট্টা চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম