কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ জয়পুরহাট বাফার সার গোডাউন চত্বরে হাজার হাজার বস্তা ইউরিয়া সার খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছে। গোডাউনে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় প্রতি বছরই এভাবে খোলা আকাশের নিচে সার রাখা হয়। বাফার সার গোডাউনটি দু’হাজার টনের ধারণক্ষমতার হলেও অতিরিক্ত আরও তিন হাজার টন ঠাসাঠাসি করে রাখায় ওই সারের গুণগতমানও নষ্ট হচ্ছে। খবর জনকণ্ঠ অনলাইনের।
বাফার সার গোডাউন দফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ইউরিয়া সারের বার্ষিক চাহিদা ৪৯ হাজার টন। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলার কৃষকদের সারের চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার টনসহ প্রায় ৬৫ হাজার টন সার এ বাফার গোডাউনের তত্ত্বাবধানে পাঠানো হয়। এ বিপুল পরিমাণ সার দু’হাজার টনের গোডাউনে অতিরিক্ত আরও তিন হাজার টন গাদাগাদি করে রাখার পর অবশিষ্টগুলো খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়।
জয়পুরহাটের ৫৬ ও নওগাঁর দুই উপজেলার ২০ ডিলার এ গোডাউন থেকে সার সরবরাহ নিয়ে কৃষকদের মাঝে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। চাহিদা অনুযায়ী সারও আসছে যথানিয়মে। এতে গোডাউনে ও খোলা আকাশের নিচে রাখা সারগুলোর গুণগতমান এবং কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। জয়পুরহাট বাফার গোডাউন সূত্রে জানা যায়, খোলা আকাশের নিচে রাখা সারগুলো রোদ, বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ডিলাররা ওই সার নিতে নানা সময় আপত্তি জানায়।
সার ডিলার মেসার্স আবু বক্কর সিদ্দিকের প্রতিনিধি সাখোয়াত হোসেন জানান, সারগুলো দীর্ঘদিন থেকে গোডাউনেই পড়ে রয়েছে। এ সারগুলোর গুণগতমান প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দীর্ঘদিন গোডাউনে রাখা ওই সারগুলো ডিলাররা নিতে চাইবে না। ডিলার মেসার্স সাইদুর রহমানের প্রতিনিধি মোঃ জাহিদ একই কথা জানান।