কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মাগুরা, জেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সরিষা চাষ। জেলার চার উপজেলায় এ বছর ১০ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ হাজার ১২০ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ৩ হাজার ৭৬৫ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর ও মহম্মদপুর উপজেলায় ৬০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। চাষ কৃত জমি থেকে প্রায় ১৩ হাজার ৪৬৬ মেিেট্রক টন সরিষা উৎপাদিত হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৯৫ শতাংশ জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বারি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বারি সরিষা-৯, ১৩, ১৪ ও বিনা সরিষা-৪ ও ৫ জাতসহ উচ্চফলনশীল টোরি-৭ জাতের সরিষার চাষ বাকি ৫ শতাংশ জমিতে স্থানীয় জাতের সরিষা চাষ হয়েছে।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, স্থানীয় জাতে হেক্টর প্রতি ফলন হয় দশমিক ৫ থেকে দশমিক ৬ টন সেতুলনায় বিনা ও বারিসহ উচ্চফলনশীল জাতের সরিষায় ফলন হয় হেক্টর প্রতি দেড় থেকে ২ টন। উচ্চ ফলনশীন জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করার তারা এ বছর এটির চাষ বেশি করেছে । এ ছাড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরিষা চাষ সফল করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে চলতি মৌসুমে কৃষকরা সরিষার ফলন ভালো বলে হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার পশ্চিম রামনগর গ্রামের কৃষক মোকছেদ আলী মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে তিনি দেড় একর জমিতে বারি সরিষা-১৪ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ করেছেন। যা থেকে তিনি প্রায় ২২ মণ সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন। সদর উপজেলার আঠাখাদা গ্রামের গ্রামের কৃষক আসলাম মল্লিক দেড় বিঘা জমিতে বারি সরিষা-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ করে প্রায় ৭ মণ সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন। উভয় কৃষকই ভালো দামে সরিষা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান।
মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি র্কমকর্তা মো. হাফিজ হাসান জানান, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় স্থানীয় জাতের তুলানায় উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা বেশি চাষ করছেন কৃষকরা। সরিষা চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এ ছাড়া আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সরিষার ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি ভালো দাম পাবেন বলে তিনি মনে করেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম