কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ উন্নত প্রযুক্তি আর জাত ব্যবহার করে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকার কৃষকরা। আগে স্থানীয় জাতের কলা আর পেপে উৎপাদন করে যেখানে কম ফলন পেতেন, সেখানে বারি উদ্ভাবিত পদ্ধতি ব্যবহার করে একই জমিতে কলা গাছের পাশাপাশি বিভিন্ন শাকসবজি লাগিয়েছেন পাহাড়ের এসব কৃষক। যাতে উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ।
তাদের এ সাফল্যে প্রযুক্তি সহায়তা দিয়েছে হাটহাজারি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। পাহাড়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন পার্বত্য জেলায় কাজ করা হচ্ছে জানান এর গবেষকরা।নতুন পদ্ধতিতে শাকসবজি ও ফল উৎপাদন করে এখন সাফল্যের হাসি খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার দুর্গম ময়ুরখীল পাড়ার কৃষকদের মুখে।
পাহাড়ের এসব মানুষ একসময় চাষ করতেন শুধু স্থানীয় জাতের কলা আর একটিমাত্র সবজি। যাতে ফলনও হতো কম। তবে, উন্নত প্রযুক্তি আর জাত বদলে দিয়েছে তাদের এই চাষপদ্ধতি। হাটহাজারীর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহায়তায় তারা এখন একটি জমিতে একই সাথে চাষ করছেন উন্নত জাতের কলা, পেপে আর নানা ধরনের শাকসবজি।
পাহাড়ের চাষাবাদে এই পরিবর্তনের কারণ, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা ও ফসলের ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে একটি বিশেষ প্রকল্প। যার আওতায় কৃষকদের দেয়া হয় বিভিন্ন উন্নত জাত ও পদ্ধতি।
এই প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার ৮টি উপজেলায় কৃষকদের দেয়া হয়েছে বারির উদ্ভাবিত ফল ও শাকসবজির ৩২টি উন্নত জাত। যা দিয়ে এরইমধ্যে ৫১৫টি বাগান করেছেন পাহাড়ের কৃষকরা।
সুত্রঃ channel24bd.tv / কৃপ্র/এম ইসলাম