কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ খুলনার তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন বিলে পাখি শিকারিরা নির্বিচারে অতিথি পাখি নিধন করছে। পাখি শিকার করে তারা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিনিয়ত বিক্রি করছে।শীত মৌসুমে তেরখাদার ভুতিয়ার বিল এবং বাসুয়াখালি বিলসহ কয়েকটি বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এ সুযোগে সুচতুর পাখি শিকারিরা পাখি শিকারে বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
প্রশাসনের নাকেরডগায় অতিথি পাখি বিক্রি হলেও কোনো প্রতিকার নেওয়া হয় না। সুচতুর শিকারিরা পাখি তাড়িয়ে তাদের পাতা ফাঁদ এবং পানতা পাতার দিকে নিয়ে আসে। অতিথি পাখি ঐ ফাঁদের ওপর পড়লে শিকারিরা দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেলে। আবার পানতা পাতার ওপরের খাবার খেয়ে পাখিরা ধীরে ধীরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় ঐ সুচতুর পাখি শিকারিরা দ্রুত এসব পাখি ধরে শাপলার মাধ্যমে ওদের পেটের ভিতরে সরিষার তেল ঢুকিয়ে দেয়।
পাখির পেটের ভিতরে সরিষার তেল ঢুকে গেলেই পাখিরা বমি করে দেয়। এরপর আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকে। জানা যায়, বর্তমানে পাখি শিকারিরা শিকার করছে তেলকুয়া, ডুংখোর, চেগা, বই পাখি, কুড়া পাখি, তেলকুচ, নাড়লী, পেচি নাড়ুলী, বিভিন্ন জাতের হঁসপাখিসহ নানা জাতের অতিথি পাখি। দিন-রাত পাখি শিকারিদের পদভারে কম্পিত ভুতিয়ার, বিল, বাসুয়াখালি বিল, নলামারা বিল, কোলা বিল, সস্তারবিল বিলসহ কয়েকটি বিল। জানা যায়, অতিথি পাখি বিলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন জাতের বিষাক্ত পোকা-মাকড় খায়। ফলে বিলগুলোতে ভালো ফসল উত্পাদিত হয়। নির্বিচারে এসব পাখি নিধন করায় পরিবেশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম