কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে চাষিদের মধ্যে বেশ আনন্দ দেখা যাচ্ছে। পুঁজি ও শ্রম কম হওয়ায় আলু চাষে সাতকানিয়ায় চাষিদের ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। যারা অন্যের কাছে ধার-দেনা করে সংসার চালাতো তারা আর অন্যের মুখাপেক্ষি হচ্ছেন না।,উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের কালামিয়া পাড়ার পশ্চিমের পাহাড়ের গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের পাদদেশে গোল আলুর ক্ষেত। কিছু ক্ষেতে আলু তোলা শুরু হয়েছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেতে তোলার অপেক্ষায় রয়েছেন চাষিরা। আগাম যারা চাষ করেছেন তারা এখন ক্ষেত থেকে গোলআলু তুলছেন।
গোলআলু চাষি নুরুল কবির ইত্তেফাককে জানান, তিনি ২২ শতক জমিতে গোলআলু ও ৩০ শতক জমিতে শিম চাষ করেছেন। বিগত ১৫ দিন আগে থেকে গোলআলু ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। তার ক্ষেতের ফলনও হয়েছে ভালো। স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা তাকে কাজে সহযোগিতা করে সবসময়। এ দুই ধরনের ক্ষেত করতে তার শ্রমসহ মোট খরচ হয়েছে ২২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তিনি ২৮ হাজার টাকার গোলআলু ও শিম বিক্রি করেছেন। ক্ষেতের সমস্ত গোলআলু ও শিম বিক্রি করতে পারলে আনুমানিক ৪৮ হাজার টাকা আয় হবে বলে সবজি চাষি নুরুল কবির জানান। সরকারিভাবে তিনি কৃষি ঋণ পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার সরকারি ঋণ পাননি।
সাতকানিয়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর গোলআলুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২শ হেক্টর জমি। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ইত্তেফাককে জানান, ‘আগাম যারা গোলআলু চাষ করেছেন তাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। যে সমস্ত সবজি চাষি ক্ষেতের রোগ-বালাই-এর ব্যাপারে আমাদের নিকট আসেন তাহাদেরকে সাধ্যমত পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে থাকি।’
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম