কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার তরুণরা বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালনের দিকে ঝুঁকছেন । এছাড়াও নারীদেরও বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালনের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।আর্থিক লাভের দিক বিবেচনায় এলাকায় বাড়ছে কবুতর খামারের সংখ্যা। উপজেলার ২/৩ টি স্থানে নিয়মিতভাবে মিলছে জমজমাট কবুতরের হাট। রয়েছে কিছু স্থায়ী দোকানও।কবুতর পরিবারে পুষ্টি সরবরাহ করে। এছাড়া এটি শোভাবর্ধনকারী প্রাণি এবং বিকল্প আয়ের উৎস।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, সুষ্ঠু পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কবুতর প্রতিপালন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব। তবে এখন পর্যন্ত কবুতর পালনে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নেই বলে জানালেন কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শষ্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বর্তমানে হাঁস-মুরগির মতো এ উপজেলার প্রায় প্রতি বাড়িতেই কবুতর পালন করতে দেখা যায়। তবে পুরনো পদ্ধতির প্রচলন বাদ দিয়ে উন্নত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কবুতর পালন করলে আরো স্বাবলম্বী হতেন খামারিরা।
কবুতর পালনের মাধ্যমে পরিবারের আমিষ জাতীয় খাদ্যের চাহিদা পূরণ ও বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক কবুতরের দৈহিক ওজন (জাতভেদে) ২৫০-৮০০ গ্রাম, সময়কাল ৫-৬ মাস, ৪৮ ঘণ্টা পর কবুতর প্রতিবার ১ জোড়া ডিম দেয়। বাচ্চা উৎপাদনে সময় লাগে ৪-৫ দিন। ২৮-৩০ দিনে বাজারজাত করণ উপযোগী হয়।
পৃথিবীতে ৮০ জাতের কবুতরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ১৫/২০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। দেশের সর্বত্রই এসব কবুতর চোখে পড়ে। দেশি বাংলা কবুতর ছাড়াও গিরীবাজ, সিরাজি, শর্টপিস, নান, ময়ুরী, হোমার, কিং, রাংগস, স্টেচার, ঘিয়াচুন্নি, ম্যাগপাইসহ দামি সব কবুতর রয়েছে দাগনভূঞার বিভিন্ন কবুতরের হাটে। কবুতর সাধারণত গম, মটর, খেসারি, সরিষা, ভুট্টা, কলাই, ধান ও চাল জাতীয় শস্যদানা খেতে পছন্দ করে। আকাশে বিচরণকালে এরা নিজেদের পছন্দের খাদ্য নিজেরাই সংগ্রহ করে।
দাগনভূঞার এনায়েতপুর গ্রামের খামারী মোহাম্মদ ওয়াসিম জানান, ১০ জোড়া কবুতরের জন্য ১টি বাসস্থান তৈরিতে খাবার ও পানির পাত্রসহ আনুমানিক ৩-৪শ’ টাকা খরচ হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জোড়া কবুতরের ক্রয়মূল্য আনুমানিক ১-১ হাজার ৫শ’ টাকা।
সুত্রঃ যুগান্তর / কৃপ্র/এম ইসলাম