এস এম মুকুল: কৃষি বিজ্ঞানীদের নিরলস শ্রম, আবিষ্কৃত ফসল আবাদে মাঠ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের চেষ্টা, কৃষকদের আর্থিক সহায়তা, সুষম সার ব্যবস্থাপনা সর্বোপরি কৃষিক্ষেত্রের সাফল্যের নেপথ্যে কাজ করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি ফসলের ৪৭১টি উচ্চফলনশীল, রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৪৫২টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এ পর্যন্ত ৯০০টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
যার ফলে গম, তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে উদ্ভাবিত ৮২টি নতুন জাতের ধান অঞ্চলভিত্তিক চাষাবাদে অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া গেছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রতিকূলতা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা আটটি লবণসহিষ্ণু, দুটি জলমগ্নতাসহিষ্ণু, চারটি খরাসহিষ্ণু এবং দুটি শীতসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল এবং স্বল্পমেয়াদি জিঙ্কসমৃদ্ধ আমন ধানের নতুন জাত ব্রি ধান৬২ অবমুক্ত করেছে। বাংলামতি সুগন্ধি ধান ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। মঙ্গা এলাকায় ব্রি-৩৩ ও ৩৯ জাতের ধান আবাদ করে মানুষের খাদ্যসংকট এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ব্রি-৪২ ও ৪৩ খরাসহিষ্ণু উফশী জাতের বোনা আউশ ধান বিশেষত খরা ও বৃষ্টিবহুল এলাকায় যেমন ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এলাকায় ধান ছিটিয়ে এবং ডাবলিং পদ্ধতিতে বপন করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট বিনায় গবেষণার মাধ্যমে দেশে কৃষিতে যুক্ত হলো আমনের নতুন জাত গ্রিন সুপার রাইস বা বিনা ধান১৭ জিএসআর। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) বেশ কয়েকটি জাত ছাড়াও এরই মধ্যে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন কৃষিতে নতুন বিস্ময়।
লেখক : কৃষি ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
কৃপ্র/এম ইসলাম