কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নড়াইল জেলায় শীতের মৌসুমে দেশী-বিদেশী পাখির কলকাকলীতে মুখরিত জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া অরুনিমা রিসোর্ট এ্যান্ড গলফক্লাব। এখানে বছরে অধিকাংশ সময় অতিথি পাখি অবস্থান করে এবং সারা বছরই দেশী পাখি দেখা যায়। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত অরুনিমা পরিণত হয়েছেপাখিদের মিলন মেলায়।
জানা গেছে, জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিঃমিঃ দূরে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া গ্রামে প্রায় ৫০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম নেচারবেজ পার্ক অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব। অপূর্ব সৌর্ন্দযের লীলাভূমি নড়াইলের এক নিঃভৃত পল্ল¬ীতে গড়ে ওঠা অরুনিমা রিসোর্ট গলফক্লাব। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শুরু হয় নাম জানা অজানা পাখির কিচির-মিচির শব্দে ছুটে চলা। চলতে থাকে সারাদিন। থেকে থেকে আকাশের বুকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়তে থাকে অতিথি পাখির দল। সাথে থাকে সাদা ডানায় উড়তে থাকা বকের দল।
পাখির কিচির মিচির ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক। বিগত ৭-৮ বছর ধরে ডিসেম্বর/জানুয়ারি মাসে সাইরেবিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসে অতিথি পাখি, সাথে থাকে দেশি শ্যামা, বেলেহাঁস, পানকৌড়ি, ঘুঘু, কবুতর, দোয়েল, বুলবুলি, শালিক, সুঁইচোরা, চড়–ই, বক, রাজহাঁসসহ অসংখ্য বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। সারাদিন খাদ্যের সন্ধানে পার্কের বাইরে থাকলেও বিকেলে ফিরে আসে নিরাপদ আশ্রয় এই পার্কে। তখন আকাশের বুকচিরে পাখিদের কিচির মিচির সবাইকে ম্গ্ধু করে তোলে। সন্ধ্যায় পার্কের প্রায় প্রতিটি গাছ নেচে ওঠে সাদা বক আর অতিথি পাখির কলতানের ছন্দে।
বাগেরহাট থেকে পাখি দেখতে আসা নুরজাহান জানান, এখানে এসে আমি আনন্দিত কারণ এ রকম দেশী-বিদেশী পাখির দৃশ্য কোথাও দেখা যায়না, যা এখানে দেখতে পারছি।গোপালগঞ্জের তানিয়া খাতুন জানান, নড়াইলের কালিয়ার অরুনিমায় না এলে এ রকম একটি মনোরম দৃশ্য দেখতে পারতাম না। এখানে এসে আমি অভিভূত হয়েছি।যশোর থেকে বেড়াতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, অরুনিমার প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। কেউ এখানে একবার আসলে তাকে আবারও বেড়াতে আসতে হবে, বিশেষ করে এটি যে পাখির একটি নিরাপদ আবাস স্থল তা না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না।
অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, পাখিদের জন্য অভয়ারণ্যসহ রক্ষণাবেক্ষণে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ফলে সারা বছরই কম-বেশী পাখি পার্কে অবস্থান করে বিশেষ করে অতিথি পাখি বছরের প্রায় ৯ মাস অবস্থান করে। এই কারণে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আগমন ঘটে এখানে।তিনি আরো বলেন, দেশী-বিদেশী অতিথিদের এখানে থাকা-খাওয়াসহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম