ড. মো. হুমায়ুন কবীর: আমি নিজের বাজার সবসময়ই নিজেই করে খাওয়ার চেষ্টা করি। সেজন্য যারা নিজের বাজার নিজেরা করে খেতে পারেন না, তাদের চেয়ে আমার অভিজ্ঞতা একটু বেশি বলেই দাবী করছি। তবে আমার দলে আছেন এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়, যারা আমার মত বাজার করে খান। সেজন্যই বাজার করতে গেলে কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়। অপরদিকে শাকসবজি উৎপাদন হয় এমন গ্রামাঞ্চলে যারা এ শীতে বেড়াতে যান তাদেরও কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে নিশ্চয়ই। কারণ এ মৌসুমে গ্রামে-গঞ্জে ভ্রমণে থাকলে চলতে চলতে রাস্তার পশে দেখা যাবে অনেক বাজার বসেছে। সেই বাজার হলো তরতাজা শাকসবজির বাজার। চলার পথে কেউ যদি গাড়িতে বসে দেখেন, তাজা শাকসবজি একেবারে তাকিয়ে রয়েছে। তখনই গাড়ি থেকে নেমে কিছু তাজা সবজি কিনে নিয়ে দেখবেন, তা ঢাকা শহরের সেই কাঁচা বাজার হতে কত কমদামে পেয়েছেন!
আমার নিজের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার সবজি উৎপাদনকারী এলাকায় হওয়াতে আমাদের নিজেদের জমিতে যে সবজি উৎপাদন হয় তা তারা যে দামে বিক্রি করে, আমি নিজে শহরে থাকার কারণে সেই সবজিই হয়তো কয়েকগুণ বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে। অথচ আমরা শহরে বসে এত বেশি দামে কিনি বলে সেটা আবার পুরোটা কৃষক পায় না। চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের খাতায়। সেজন্যই প্রতি মৌসুমেই শাকসবজির দাম নিয়ে আলোচনার বিষয়টি গণমাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলে দিতে দেখা যায়। কোন সবজির দাম বেশি, আবার কোন সবজির দাম কম ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এক্ষত্রে একটি বিষয় পরিষ্কার যে মৌসুৃমের শুরুতে উৎপাদন কম হওয়ায় সরবরাহ কম থাকে। সেজন্য দামও কিছুটা বেশি থাকে বাজারে।
অপরদিকে মৌসুমের সময় যতই গড়াতে থাকে, তখন বাড়তে থাকে উৎপাদন, সেইসাথে কমতে থাকে শাকসবজির বাজারমূল্য। এ যেন খুবই সহজ অংক ও অর্থনীতির একটি হিসাব-নিকাশ। কারণ অর্থনীতির ভাষায় দ্রব্যের চাহিদা বেশি থাকলে, যদি উৎপাদন কম হয় তাহলে দাম বেশি থাকে, আবার অপরপক্ষে উল্টোটি হলো উৎপাদন বেশি হলে, সরবরাহ বেশি হয়। তখন বাজারে সেই পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় সেটির বাজারমূল্যও কমে যায়। শাকসবজি ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হলো এর পঁচনশীলতা। কারণ তাজা বা কাঁচা শাকসবজি অতি পঁচনশীল একটি কৃষি পণ্য। একে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সহজে বেশিদিন গুদামজাত করে সংরক্ষণ করা যায় না। কাজেই এর বাজারমূল্যের সাথে সরাসরি উৎপাদক হিসেবে কৃষকের লাভ-ক্ষতির বিষয়টি জড়িত।
কৃষক তার উৎপাদিত শাকসবজি সঠিক সময়ে বিক্রি করতে না পারলে একদিকে তা পঁচে নষ্ট হয়, অপরদিকে কমমূল্যের কারণে উৎপাদন খরচই উঠে না। ফলশ্রুতিতে কৃষক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। স্বাভাবিকভাবে কোন একটি কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। কৃষি অর্থনীতির ভাষায় একে মার্কেট চেইন বলা হয়ে থাকে। কোন একটি সবজি ধরা যাক ফুলকপি উৎপাদনের ক্ষেত্রে যদি উদাহরণ দেই তাহলে অনেকটা পরিষ্কার হতে পারে। ফুলকপি আবাদের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন এর একটি উপযুক্ত জমি নির্বাচন করে সময়মতো তা প্রস্তুত করা। কারণ সবধরনের মাটিতে কিংবা জামিতে ফুলকপি উৎপাদন করা যাবে না।
ফুলকপি চাষের জমি হতে হবে বেলে-দোঁয়াশ থেকে এঁটেল দোাঁয়াশ এবং স্বভাবিকের চেয়ে একটু উঁচু প্রকৃতির। যাতে সহজেই বৃষ্টি কিংবা সেচের পানি আটকে না থাকে। তারপর কৃষককে সেই জমিটি ভালোভাবে চাষ-মই দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে। এরপর প্রয়োজন হয় ফুলকপির উন্নতমানের বীজের। আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা, ফুলকপির বীজ মানেই উফশী এবং তার সবটুকুই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কারণ ফুলকপির বীজ উৎাপাদন করতে হলে এর পরিপক্ক হওয়ার সময়ে যে আবহাওয়া বিরাজমান থাকার প্রয়োজন তা আমাদের দেশে সেসময় বিদ্যমান থাকেনা। সেজন্য প্রতিবছরই কৃষককে চড়া ও উচ্চমূল্যে ফুলকপির বীজ আমদানীকারকদের নিকট থেকে কিনতে হয়। তারপর জমিচাষ, বীজতলা তৈরী, ভালোভাবে চারা উৎপাদন, জমিতে চারা রোপন, সার প্রয়োগ, কীটনাশক প্রয়োগ, আন্তঃপরিচর্যা, সেচ, রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন, সবজি ফসল উত্তোলন, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি প্রত্যেকটি কাজের সাথে হয় কৃষক নিজেকে, নয়তো ক্রয়কৃত শ্রমিকের মাধ্যমে পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
এর প্রত্যেকটি খরচ কৃষকের ফুলকপি উৎপাদন খরচের সাথে যুক্ত হতে বাধ্য। এর ভিতর ফুলকপি উৎপাদনের জন্য যে তিন মাসাধিক সময়ের প্রয়োজন হয় এবং সেখানে কৃষক নিজে যে তার জমিতে কাজ করে সেটাকেও শ্রমমূল্য হিসেবে ধরতে হয়। এসবের ভিতরেতো আবার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী রয়েছেই। এত পরিশ্রম ও বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত একটি ফুলকপির উৎপাদন খরচই পড়ে যায় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ টাকা। মৌসুমের শুরুর দিকে একটি ফুলকপির মূল্য যদিও ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা যায়, কিন্তু সময় যতই গড়িয়ে যেতে থাকে ততই সেসব ফুলকপি প্রতিটির মূল্য কমতে কমতে তা ৫ থেকে ১০ টাকায় এসে ঠেঁকে যায়। আর মার্কেট চেইনের ফলে ঢাকা শহরের কোন একটি কাঁচা বাজারে একটি কপি পৌঁছাতে পরিবহন, বেপারি ও ফড়িয়াদের হাত বদল হয়।
এতে ভোক্তা সবজি পণ্যটি বড় অংকের টাকা দিয়ে কিনলেও, কৃষক সেটির মূল্য খুব কমই পায়। এবং সেই চেইনের মধ্যে এত বিস্তর ফারাক যে তা কল্পনাও করা যায় না। ফুলকপি উৎপাদনের স্থানে মৌসুমের শেষের দিকে এমনও দেখা যে একেকটি ফুলকপি কৃষক দুই টাকাতেও বিক্রি করতে পারে না। তখনই বিভিন্ন স্থানে কৃষক হতাশ হয়ে তাদেও উৎপাদিত পণ্য রাস্তায় ফেলে দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। অথচ সেই সময়েও ঢাকা শহরের কোন একটি কাাঁচা বাজারে সেই ফুলকপি প্রতিটি ২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এখনে যদিও আমি শীতের একটি সবজি ফুলকপিকে আলোচনার সুবিধার্থে উদাহরণ ািহসেবে নিলাম। কিন্তু এ মৌসুমের অন্যান্য শাকসবজির ক্ষেত্রেও একই চিত্র চোখে পড়ে। বাধাকপি, বেগুন, মূলা, গাজর, শালগম, লাউ, সীম, টমেটো ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হতে দেখা যায়।
আগেই উল্লেখ করেছি, আমাদের বাংলাদেশে সারাবছরই কিছু না কিছু শাকিসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে শীতকালে তার পরিমাণ ও সংখ্যা অনেক বেশি। এসময় বাহারি ও সুস্বাদু অনেক শাকসবজিতে মাঠ ভরে উঠে। পুষ্ঠি ও গুণগত মানের দিক দিয়ে শীতকালীন শাকসবজির খুব কদর রয়েছে সকলের কাছে। কৃষি মেলা, কৃষি প্রযুক্তি মেলা, বৃক্ষ মেলা, ফল মেলা ইত্যাদি বিভিন্ন নামে বিভিন্ন কৃষিপণ্যের মেলার প্রচলন থাকলেও সবজি মেলা শুরু হয়েছে গতবছর (২০১৬) থেকে। সারাবছরই দেশে কিছু না কিছু সবজি উৎপাদন হলেও সংখ্যা, পরিমাণ ও বিচিত্রতার উপর ভিত্তি করে আমাদের দেশে শীতকালই শাকসবজির জন্য বেশি উপযুক্ত। শাকসবজির গুরুত্বের বিষয়টিকে সামনে রেখেই এবারে (২০১৭) দ্বিতীয়বারের মতো তিনদিনব্যাপী সবজি মেলা হয়েছে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ীতে।
৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এ মেলা চলেছে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় এ মেলাটির আয়োজন করেছে, যেখানে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান স্টল স্থাপন করে তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি প্রদর্শন করেছে। আমরা জানি, বাংলাদেশে কৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এখানকার বর্তমানে প্রায় ষোলোকোটি মানুষের মধ্যে শতকরা প্রায় আশিভাগেরও বেশি লোক আদি ও অকৃত্রিম এ পেশার সাথে সরাসরি জড়িত। দেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪৭.৫ শতাংশ জড়িত রয়েছে কৃষিখাতে। একময়ের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদের বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দানাদার শস্য উৎপাদন প্রায় পৌণে চার কোটি মেট্রিক টন। কৃষিতে প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে তিন শতাংশের বেশি, জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান প্রায় ২৩ শতাংশ, দেশে ১৫০টি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির উৎপাদন প্রায় দেড়কোটি মেট্রিক টন, যা কিনা বিশ্বে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
শুধুমাত্র শাকসবজি উৎপাদনের আওতায় জমাজমির পরিমাণ প্রায় সাড়ে আট লক্ষ হেক্টর। কৃষির উপখাত হিসেবে স্বাদুপানির মৎস্য উৎপাদনেও বিশ্বে বাংলাদেশ চতুর্থ অবস্থানে। শুধু তাই নয়, এখন এসব উৎপাদিত পণ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। গত অর্থ বছরে (২০১৫-১৬) এক লক্ষ টন আলু এবং ৩৮ হাজার মে. টন শাকসবজি বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক গড়ে ২২০ গ্রাম শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, আমরা খেতে পারছি মাত্র ৭০ গ্রাম। অন্যান্য যেকোন ফসলের চেয়ে শাকসবজি চাষে অনেক বেশি আর্থিক লাভ। গবেষণায় দেখা গেছে, ধানচাষের চেয়ে শাকসবজি উৎপাদনে প্রায় সাড়ে তিনগুণ বেশি লাভ করা যায়। ন্যায্যমূল্যে উন্নত বীজ, সার, সেচ, আধুনিক প্রযুক্তির কৃষি যন্ত্রপাতি ও কাাঁচামালসহ সকল কৃষি উপকরণে সরকারি সরাসির ২০% প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেওয়ার কারণে কৃষিসহ সবজি চাষের জমি ও উৎাপদন দুটিই সমানতালে বেড়ে যাচ্ছে।
সার্বিক বিচারে দেশের কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। সেখানে শত বাধা ও সমালোচনা সত্ত্বেও দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির কথা চিন্তা করে সরকার সবজি উৎপাদনের নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। সেখানে বাইয়ো-টেকনোলজিক্যাল (বিটি) বেগুন, জেনেটিক্যালি মোডিফাইড (জিএম) প্রযুক্তির উন্নত বীজ এবং উচ্চফলনশীল (উফশী) হিসেবে পরিচিত হাইব্রিড প্রযুক্তি ব্যবহার করে আজকে সবজি চাষে ও উৎপাদনে এ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। অথচ সমালোচনা মেনে বসে থাকলে আজকে হয়তো এমন সাফল্য আসতো না। কৃষির ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় এখন ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ, যা সত্যি প্রশংসার দাবী রাখে। এখন প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সবজি উৎপাদনের নির্ধারিত মৌসুম বলতে কিছু নেই। সব সবজিই এখন সকল মৌসুমে কমবেশি উৎপাদন করা সম্ভব।
একসময় শুধুমাত্র শীতকালে উৎপাদন হতো এমন সবজি যেমন- বেগুন, টমেটো, লাউ, গাজর, ফুলকপি, বাধাকপি ইত্যাদি যেমন সারাবছরই আবাদ হচ্ছে। অপরদিকে শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে উৎপাদিত হতো এমন কিছু সবজি যেমন- পটোল, ঢেঁড়শ, মিষ্টি কুমড়া, করলা, বেগুন ইত্যাদিও এখন সারা বছরজুড়েই আবাদ হতে দেখা যায়। যেকারণে এখন সারাবছরই সবধনের শাকসবজি বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো উৎপাদন করে প্রান্তিক পর্যাযের কৃষকবৃন্দ তাদের নিজেদের দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
এসব ক্ষেত্রে রয়েছে বর্তমান কৃষি ও পরিবেশবান্ধব আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রত্যক্ষ ও সরাসরি উদ্যোগ এবং প্রণোদনামূলক জনবান্ধব কৃষিনীতি। কাজেই এসব মেলার মাধ্যমেও প্রকৃত অর্থে শাকসবজি উৎপাদনে কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে নজর দেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। আমরা বাজারে গেলে শুধু বলি এ পণ্যের মূল্য বেশি, ও পণ্যের মূল্য বেশি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড পরিমাণ মূল্য না থাকলে, শুধু মূল্য কমালে দেশের কৃষি পণ্যের উৎপাদক হিসেবে কৃষককুল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা আমাদের জন্য মূল্যবান পণ্য উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। প্রকারান্তরে যা আমাদের জাতীয় সমস্যা হিসেবেই দেখা দেবে। কাজেই সবকিছুর একটি সুসামঞ্জস্যতা ও সমতা থাকা বাঞ্ছণীয়।
লেখক: কৃষিবিদ ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়