কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ফসল চাষে বৈচিত্র্য আনার তাগিদ দিয়েছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে সেচসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা।সম্প্রতি রাজশাহীতে ‘প্রথম বরেন্দ্র অ্যাগ্রো-ইকো ইনোভেশন রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম কনফারেন্সে’ বক্তারা এই তাগিদ দেন। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সরকারের কৃষিসংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও প্রকৌশলীরা এ কনফারেন্সে অংশ নেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বরেন্দ্র এলাকায় অপরিকল্পিত সেচযন্ত্র ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বাড়ছে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে উত্তরাঞ্চল শিগগির মরুকরণের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গবেষকেরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল ইসলাম।
অপরিকল্পিত গভীর নলকূপ ও অগভীর নলকূপের পানি ব্যবহূত হচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষিকাজে। এতে চাষের পরিধি বাড়লেও পরিবেশের ওপর পড়ছে মারাত্মক প্রভাব। গবেষকরা বলছেন, চাপ বাড়ায় নিচে নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। সুপেয় পানি সংকটের আশঙ্কাও বাড়ছে। বিষয়টি মাখায় রেখে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বরেন্দ্র এগ্রো-ইকো ইনোভেশন রিসার্চ প্লাটফর্ম গড়তে যাচ্ছে।
বিএমডিএ চেয়ারম্যান বলেন, সেচ-সাশ্রয়ী বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কম সেচে আবাদ সম্ভব এমন ফসল উত্পাদনে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে চাষীদের। দেয়া হচ্ছে কারিগরি সহায়তা। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে বিএমডিএ। আর এরই অংশ হিসেবে এগ্রো-ইকো ইনোভেশন রিসার্চ প্লাটফর্মের কথা এসেছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম