কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নোয়াখালী জেলার স্বর্ণদ্বীপকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।একদিকে যেমন জমিতে ধানচাষ চলছে, তেমন এই মিলিটারি ফার্মগুলোতে পশুপালনও চলছে, যেখানে সম্পৃক্ত হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। স্বর্ণদ্বীপের একটি বাথানেই প্রায় দু’শ মহিষ আছে। প্রতিটি মহিষেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। লাল চান, কালাচান, রঙবালা এসব নাম ধরে ডাকলেই সাড়া দেয় তারা। ভোর হলেই মহিষ থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ২০০-২৫০ লিটার হয় মোট। একেকটা মহিষে ৫-৬ লিটার দুধ দেয়। খামারেই মহিষের দুধ থেকে তৈরি করা হয় পনির। স্বর্ণদ্বীপে মহিষের পাশাপাশি হাঁস ও ভেড়াও পালন করা হচ্ছে।
স্বর্ণদ্বীপজুড়েই রয়েছে এমন বেশ কিছু বাথান। আগামীতে পশু প্রজনন এবং দুগ্ধ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে স্বর্ণদ্বীপকে ঘিরে। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর এম অ্যান্ড কিউ পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রি. জে. মামুন অর রশীদ বলেন, মিলিটারি ডেইরি ফার্মকে আমরা এক্সটেন্ড করে ‘সম্প্রীতি’ নামে একটা সমবায় আমরা করেছি। এখানে ২০টা মতো বাথান আছে। সেই বাথানগুলোকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি।
ব্রি. জে. মামুন অর রশীদ আরো বলেন, ধান ও রবিশস্য, সেগুলো আমরা ওখানে শুরু করেছি। এখন খুব ছোট পরিসরে শুরু করেছি। মাস্টার প্ল্যান করে সেটা আরো বড় করে পুরো দ্বীপে বিস্তার করবো।ভিয়েতনাম থেকে আনা সিয়াম কোকোনাট এর ১৫০০ চারা রোপন করা হয়েছে। এর নিচে চলছে মাছ চাষ। দ্বীপজুড়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ১৭ ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। ধান চাষ হচ্ছে ১০ একর জমিতে।
কৃষিকাজের বাইরে এ চর ঘিরে নানা কর্মকাণ্ড চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে গড়ে তোলা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তৈরি করা হচ্ছে নতুন সড়ক। এখানে একটি ছোট পানি শোধনাগারও গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৩ সালে দ্বীপটি সেনাবাহিনীর আওতায় আসার পর এই এলাকা এখন জলদস্যু ডাকাতমুক্ত। এমন নানা কর্মকাণ্ডে নোয়াখালীর জাহাইজ্জরচরকে স্বপ্নের স্বর্ণদ্বীপ হিসেবে গড়ে তুলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
কৃপ্র/এম ইসলাম