ড. মো. হুমায়ুন কবীর: একটা সময় ছিল বাংলাদেশে পাটের জয়জয়কার অবস্থা ছিল। কিন্তু আশির দশকের পর থেকে পাটের বাজার আস্তে আস্তে কমেেত থাকে। আর কমতে কমতে একসময় এমন অবস্থার মধ্যে এসে ঠেকেছিল যে, শুধু গরু বাধার দড়ি কিংবা পাটখড়ি ব্যবহারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামান্য কিছু পাট আবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের তৎপরতায় সেই পাটের সুদিন আবার ফিরতে শুরু করেছে।
পাটের কথা বলতে গেলে সেই ছোটবেলার কিছু স্মৃতিময় কথা না বললেই নয়। ছোটবেলায় মুরুব্বীদের কাছে শুনতাম, বাজারে তাঁতের সুতোয় বুনা শাড়ি লঙ্গির পাশাপাশি পাটের তৈরী শাড়ি লুঙ্গি পাওয়া যেত। সেসময় এগুলো ছাড়া নাকি কোন বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্ত হতো না। কিন্তু পাটের তৈরী সে জিনিসগুলো দেখতে সুন্দর হলেও দামে তুলনামুলকভাবে অনেক সস্তা ছিল। তবে বিভিন্ন মাত্রায় সিল্ক-পাট কিংবা সুতা-পাটের মিশ্রণেও অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ি লুঙ্গিসহ কাপড়-চোপড় পাওয়া যেত, যা সত্যিই দেখার মতো ছিল।
সারাদেশের কৃষি ব্যবস্থা ছিল পাটময়। মৌসুমে যেদিকেই যাওয়া যেত সারি সারি পাট ক্ষেত দেখলে মন জুড়িয়ে যেত। পাটক্ষেত বড় হয়ে পরিপক্ক হলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ উচ্চতায় সমস্ত মাঠ আবৃত হয়ে থাকত। রাস্তার দুধারে পাটের ক্ষেতের জন্য আশে পাশের কোন কিছু দেখতে পাওয়া যেতো না। তাছাড়া পাট কাটা এবং জাগ দেওয়ার সময় এলে চারিদিকে পাট পচার গন্ধ এখনো নাকে যেন আটকে আছে। চারিদিকে গ্রাম গ্রামান্তরে পাট পচানো, পাট থেকে আঁশ ছাড়ানো, আঁশ ছাড়ানোর পর সারি সারি পাটশোলা শুকানোর ধুম- ইত্যাদি কার্যক্রম এখন আর চোখে পড়ে না।
সেসময় পাট ছিল বাংলাদেশের একমাত্র রপ্তানি পণ্য। তাছাড়া দেশে বিপুল পরিমাণে উৎপাদিত পাটের প্রক্রিয়াজাত করণের জন্য প্রায় ৮৭টি পাটকল ছিল। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সেসব পাটকল জাতীয় স্বার্থে জাতীয়করণ করে দিয়েছিলেন। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নারায়ণগঞ্জের আদমজী এবং সিরাজগঞ্জের কওমি পাটকল ছিল। কারণ নারায়ণগঞ্জ ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদীবন্দর যাকে প্রাচ্যের ডান্ডি বলা হতো। অপরদিকে বাংলাদেশের সব জেলাতেই কমবেশি পাট উৎপাদন হলেও ময়মনসিংহ, রংপুর, সিরাজগঞ্জ ইত্যাদি জেলাতে প্রচুর পরিমাণে পাট ফসল উৎপাদিত হতো।
সেসময়টিতে পাট ব্যবসায়ীদের অনেক কদর ও নাম-ডাক ছিল। বাজারে বাজারে ঘাটে ঘাটে পাটের হাট-বাজার, মহাল, আড়ৎ, গুদাম ইত্যাদিতে ভরপুর ছিল। পাট মৌসুমে কাঁচা পাটের গন্ধে প্রকৃতিতে এক অন্যরকম পরিবেশ বিরাজিত ছিল। সেসময় হাট-বাজার করার জন্য পাটের ব্যাগ ছিল ঐতিহ্য। প্রত্যেকের বাড়ির কর্তা হাট-বাজার করার জন্য সেই পাটের ব্যাগ নিয়ে বের হতেন। একটি পাটের তৈরী ব্যাগ দীর্ঘদিন যাবৎ সেই পরিবারের বাজার সওদা করার কাজে ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে। আর এ দিন পাল্টানো পাটের জন্য খারাপ সময় ডেকে এনেছে। একদিকে দিনে দিনে বিশ্ববাজারে পাটের বিকল্প তন্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। অপরদিকে সেসকল কৃত্রিম তন্তু দামে পাটের তুলনায় অনেক সস্তা হওয়ায় অনায়াসে সেগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেজন্য কমতে থাকে পাটের গুরুত্ব ও দাম। অপরদিেেক আমরা জানি, পাট ভেজানোর জন্য এবং পচানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন পড়ে। সঙ্গত কারণেই পাটের আবাদ করতে কৃষকরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে থাকে। সেই সুযোগে কৃষি পরিক্রমায় ফসল চক্রে পাটের স্থান দখল করে নেয় অন্যান্য ফসল।
আমরা আরও জানি, বঙ্গবন্ধু সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে পাটের গুরুত্ব বিচেনায় পাটকলগুলোকে জাতীয়করণ করে পাটের বহুমুখী ব্যবহারের উপর সবিশেষ অগ্রগতি অর্জনে ব্যাপক সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সরকারের আমলে আস্তে আস্তে সেসকল পাটকলগুলো প্রথমে বেসরকারিকরণ ও পরে বন্ধ করে দিতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের আদমজী পাটকল, ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ পাটকলসহ অনেক পাটকল বন্ধ করে দেয় সেসব সরকারগুলো। সর্বশেষ ২০০৬ সালের পরে এসে সিরাজগঞ্জে কওমি পাটকলটি বন্ধ করে দেয় এতে হাজারো শ্রমিক চাকরি হারায় এবং তারা পরিবার পরিজন নিয়ে এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছে।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালে পরে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসে শিল্প ও কলকারখানা চালু করার ক্ষেত্রে কিছু বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় আস্তে আস্তে আর্থিক প্রণোদনা, কর অবকাশসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আবারো সহজ শর্তে সেসব পাটকলগুলো খুলে দিতে থাকে। সেইসাথে সরকার পাটের বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদান শুরু করে।
পাট একটি পরিবেশবান্ধব দ্রব্য। আমরা যদি পরিবেশ বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি দিকে তাকাই অনেক চিত্র পাওয়া যেতে পারে। সেটি হলো পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারের পরিবর্তে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহার করা। কারণ দেখা গেছে পলিথিন এমন একটি জিনিস, যাকে যেভাবেই ব্যবহার করি না কেন তার ক্ষতি থেকে কোনভাবেই বাঁচা সম্ভব নয়। কারণ পলিথিন এমন একটি রাসায়নিক বস্তু যা পচনশীল নয়। সেজন্য এর কোন বিনাশ নেই। এমনকি এটি পোড়ালেও দুর্গন্ধ হয়ে ধূঁয়া দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। এটি যেখানে পড়ে থাকে সেখানেই থেকে কৃষি ফসলের জমিতে মাটির রস চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা, ড্রেন, নর্দমা- সব জায়গায় পরিত্যক্ত পলিথিন জমে জমে পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে থাকে।
সেজন্যই পলিথিনের বিকল্প হিসেবে শুধু বাংলাদেশে নয়, আমাদের প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ক্যারিং ব্যাগ হিসেবে পাটের তৈরী ব্যাগ অনায়াসে ব্যবহার করছে। আর যেহেতু দীর্ঘদিন যাবৎ পাটের বিকল্প হিসেবে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হয়ে আসছিল। সেজন্য সময়ের দাবী ছির পাট দিয়ে পলিথিন তৈরী করতে পারা। ইতিমধ্যে সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন বাংলাদেশেই পাট দিয়ে পলিথিন তৈরী হচ্ছে। আস্তে আস্তে তা ব্যাপকতা লাভ করলে কৃত্রিম পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কারণ পাটের তৈরী পলিথিন সহজেই মাটির সাথে পচে গিয়ে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না।
পাটের কোনকিছুই ফেলনা নয়। ছোট-বড় সবধরনের পাট গাছ থেকে পাতা দিয়ে পুষ্টিকর পাটশাক খাওয়া যায়। এ পাটশাক শুকনো হিসেবেও দীর্ঘদিন ঘরে সংরক্ষণ করে খাওয়ার সুযোগ থাকে। পাটে পুরো মৌসুমে ক্ষেতের মধ্যে যে পাতা পড়ে, তা উক্ত জমির জৈব পদার্থ যোগে উর্বরতা বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। পাটের শিকড়, গাছ, পাতা থেকে সার যোগ হলে পরবর্তী ফসল আবাদে ঐ জমিতে আর কোন বাড়তি সার প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না।
পাটের আঁশ ছাড়ানোর ফলে সেই আঁশ সংগ্রহ করে মূলত পাট তুলে নিতে হয়, যা আঁশ হিসেবে কাজে লাগানো হয়। সেই আঁশ ছাড়ানোর পর পাটশোলাকে প্রথমে জ্বালানি এবং পরবর্তীতে কাগজ তৈরী, বাড়িঘর তৈরী, হার্ডবোর্ড, অনেক ফার্নিচার তৈরীতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া ইদানিং পাটশোলা পুড়িয়ে তা দিয়ে ফটোকপি ও কম্পিউটার প্রিন্টারের কালি প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। পাটশোলার কয়লা ও ছাই দিয়েও বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরী করা হয়। এগুলো জিনিসের বিদেশেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিবছর সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
ঢাকাই মসলিন, সিল্কের শাড়ি কিংবা কাপড় যেমন নামে-ডাকে গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক পাটের তৈরী অনেক জিনিসপত্রও এখন দেশে বিদেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাট দিয়ে এখন শাড়ি, লুঙ্গি, সালোয়ার, কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতোয়া, বাহারি ধরনের ব্যাগ, খেলনা, শো-পিস, ওয়াল মেট, আল্পনা, দৃশ্যাবলী, নকশী কাথা, পাপোশ, জুতা, স্যান্ডেল, শিকা, দড়ি, সুতলি, দরজা-জানালার পর্দার কাপড়, গহনার বক্সসহ এমন কিছু নেই যা পাট দিয়ে হয় না। প্রায় ১৩৭ ধরনের জিনিস পাট দিয়ে তৈরী হচ্ছে। এমনকি পাট দিয়ে এখন নানারকম গহনাও তৈরী করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে পাটের গুরুত্ব বেড়ে এর বাজারমূল্য বাড়ার কারণে পণ্যটির সুদিন ফিরছে। সেজন্য জাতীয় সংসদে পাট নিয়ে আলোচনা করার সময় মাননীয় স্পিকার ঠাট্টার ছলে পাটের শাড়ি উপহার চেয়ে পাঠালে পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে পাটের তৈরী শাড়ি উপহার দেওয়া হয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে পক্ষ থেকে।
ইতোমধ্যে পাটের উন্নয়নের জন্য ড. মাকসুদুল আলম বৈজ্ঞানিকভাবে এর জীবন রহস্য আবিষ্কার করেছেন। বর্তমান সরকার পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। পাটের তৈরী ব্যাগ ব্যবহারে মোড়কীকরণ করে বাজারজাকরণে বাধ্য করা হয়েছে ১৭টি পণ্যে। তাছাড়া পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পাট চাষেও কৃষকদের ভর্তুকি প্রদানের জন্য এবং বৈজ্ঞানিকভাবে পাট সংগ্রহ ও কম পানিতে পাট পচানোর কৌশল শিক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ভারত হলো আমাদের দেশ হতে পাট আমদানির অন্যতম একটি দেশ। সম্প্রতি সেখানে বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানির ক্ষেত্রে যে অ্যান্টি-ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে, সেটিও কমানো এবং প্রত্যাহার করার জন্য ভারতের সাথে এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাথে দেন-দরবার চলমান রয়েছে।
পাটের গুরুত্বের বিষয়টি প্রকাশের জন্য সরকারে যে আন্তরিকতা তা প্রশ্নাতীত। কারণ বর্তমান সরকারের উদ্যোগে ২০১৭ সালেই সর্বপ্রথম ৬ মার্চকে জাতীয় পাট দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে। প্রথমবারের পাট দিবসের শ্লোগান ছিল, ‘সোনালী আঁশের সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’। তাছাড়া ‘বাংলার পাট, করবে বিশ্বমাত’ নামের শিরোনাম তো রয়েছেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউিশন মিলনায়তনে প্রথম বারের মতো জাতীয পাট দিবস উদযাপন উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি পাটের তৈরী শাড়ি পড়ে এবং পাটের তৈরী ব্যানেটি ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। সেইসাথে এ উপলক্ষে ৯ মার্চ থেকে ১১ মার্চ ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত তিনদিনের পাটপণ্য মেলা উদ্বোধন করেন। সেখানে পাটচাষ, পাটের তৈরী জিনিসপত্রের ব্যবহার, পরিবেশগত উপকারিতা, রপ্তানিতে উৎসাহ প্রদান, অর্থনৈতিক লাভ ও আয় ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এত পাটের বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
কাজেই সরকারের আগ্রহ, মানুষের সচেতনতা, ব্যবহারের বহুমুখীতা, অর্থনীতিতে গুরুত্ব, পাটের বর্তমান উচ্চমূল্য, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ও ব্যবহার- ইত্যাদি নানা কারণে পাট যে এখন আবারো গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে সেটি ধরে রাখতে হলে এর উপর গবেষণা ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ আমাদের রূপকল্প -২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক অগ্রগতির কোন বিকল্প নেই। আর রপ্তানি পণ্যের মাধ্যে যদি তৈরী পোষাকের সাথে আবারো পাটকে ফিরিয়ে আনা যায় তবে অগ্রগতি টেকসই হবেই।
লেখক: কৃষিবিদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়\
কৃপ্র/ এম ইসলাম