কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাংলাদেশের ফুলপ্রেমী মানুষের কাছে অতি পরিচিত ফুল ঝুমকা জবা। আদিনিবাস প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল। তবে গ্রীষ্মম-লীয় প্রায় সব অঞ্চলে এ ফুলগাছ জন্মাতে দেখা যায়। এর পরিবার- গধষাধপবধব, উদ্ভিদতাত্তি্বক নাম- ঐরনরংপঁং ৎড়ংধ ংরহবহংরং। রূপ-লাবণ্য ও রং বৈচিত্র্যে ভরা এ ফুলের প্রায় শতাধিক প্রজাতি রয়েছে। গোলাপি রঙের ঝুমকা জবা মালয়েশিয়ার জাতীয় ফুল। প্রায় সারা বছর ধরে ঝুমকা জবার ফুল ফোটে।
তবে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও হেমন্তে গাছে বেশি পরিমাণে ফুল ফোটে। নমনীয় কোমল অসংখ্য পাপড়ির সমন্বয়ে সৃষ্ট ঝুমকা জবা ফুল। অন্যদিকে এ ফুলের বৈশিষ্ট্যগত দিক পাপড়িগুলো থাকে কোকড়ানো। মধ্যে পরাগ অবস্থিত। ফুল গন্ধহীন। ফুল ফুটন্ত গাছ বেশ মনোরম ও নজরকাড়া। ঝুমকা জবা ফুলকে আবার ক্ষণস্থায়ী ফুলও বলা যায়, ভোরের আলোর সঙ্গে বাগানে ফুল ফোটে এবং দিন শেষে ফুলগুলো নেতিয়ে যায়।
গাছের প্রায় প্রতি শাখা-প্রশাখায় ফুল ধরে এবং পত্র কক্ষ থেকে বোঁটায় ফুল ধরে। শাখা-প্রশাখা ও কা- মাঝারি শক্ত মানের হয়। গাছের উচ্চতা নির্ভর করে ছাঁটাই প্রক্রিয়ার ওপর। ইচ্ছে অনুযায়ী গাছের আকার-আকৃতি ছোট-বড় করে রাখা যায়। সরাসরি মাটি ও টবে রোপণ উপযোগী ফুলগাছ। ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে এ ফুলের বংশ বিস্তার করা হয়। উঁচু ভূমি রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে ঝুমকা জবা ফুলগাছ ভালো জন্মে। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত প্রাঙ্গণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগানে ঝুমকা জবা ফুলগাছ উৎপাদন চোখে পড়ে। ঝুমকা জবা ফুলের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম