এমএ মোমিন: ডুমুর একটি অদ্ভুত ফল। কারণ এর ফুল দেখা যায় না। এ কারণেই যা কিছু দেখা যায় না কিন্তু এর অস্তিত্ব বিদ্যমান তাকে ‘ডুমুরের ফুল’ বলে অভিহিত করা হয়। প্রকৃতির এক বিচিত্র খেয়ালে এর অভ্যন্তরীণ পরাগায়ণ হয়। এর ফুল ফলের ভেতরের অংশে থাকে। এজন্য বাইরে থেকে গাছে আমরা কোনো ফুল না দেখলেও সরাসরি ফল দেখতে পাই। ফল কাটলে বা ভাঙলে ওর মধ্যে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুল দেখতে পাই।
আল কোরআনে ‘ত্বীন’ (আঞ্জির) নামে একটি সূরা রয়েছে। সেখানে এই ফলকে আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত বা অনুগ্রহরূপে ব্যক্ত করা হয়েছে। ডুমুর মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং মধ্যপ্রাচ্যে বেশি চাষ হয়। ভূ-মধ্য সাগরীয় জলবায়ু এবং অবহাওয়ায় এটার ফলন স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয় এবং ওইসব অঞ্চলে এর কদরও রয়েছে প্রচুর। পৃথিবীতে অভিন্ন পুষ্টিমাণ ও খাবারযোগ্য ৬০০ প্রকারেরও বেশি ডুমুরের চাষ হয় পৃথিবীজুড়ে। শুধু আমাদের দেশেই কেন যেন এটি অবহেলিত।
অতীতে এটাকে সব শক্তির উৎস বলে ধারণা করা হতো এবং বন্ধ্যত্বের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তা ছাড়া মায়েদের বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য উদ্দীপক হিসেবেও ব্যবহার করা হতো। তাছাড়া ডুমুর মানুষের উভয় ধরনের রক্ত চাপকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। মানুষের ত্বক উজ্জ্বল করে, শরীর থেকে মেদ দূর করে সস্নিম থাকতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তাই যারা রূপচর্চা নিয়ে ভাবেন তারা নিয়মিত বিভিন্ন উপায়ে ডুমুর খেতে পারেন রূপচর্চার টনিক হিসেবেই। ডুমুরের ইংরেজি নাম Ficus, Fig tree।
কৃপ্র/ এম ইসলাম