কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমের বাম্পার উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। আমগুলো বড় হয়ে উঠছে এবং সব আম বাগান ও বসতবাড়ির গাছগুলো দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মৌসুমী অর্থকরি প্রধান ফল হিসেবে আম অন্যতম। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতিতে এর ভালো প্রভাব রয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বিএআরআই) তথ্য অনুযায়ী এই অঞ্চলের ৮৫ ভাগের বেশি গাছে মুকুল এসেছে।
ডিএই-র অতিরিক্ত উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক বাসসকে বলেন, আমগুলো ভালোভাবেই বেড়ে উঠছে এবং ভালো ফলন পেতে চাষিরা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এ সময় তিনি চাষিদের বাগানগুলোর যদি তাপমাত্রা বেড়ে যায় তবে, পর্যাপ্ত যতœ ও কীটপতঙ্গ ও ছত্রাকের আক্রমন থেকে রক্ষার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। হান্নান নামের এক আম চাষি বলেন, আমি মনে করি আম গাছগুলোতে কীটনাশক স্প্রে করলে কীটপতঙ্গের আক্রমন থেকে রক্ষা করবে এবং ভালো ফলনে সহায়ক হবে। আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় আমি ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।
ডিএই সূত্র জানান, সম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলে বাগান ও বসতবাড়িসহ ৩২ হাজার ৮১৬ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ৩০ লাখের মত আম গাছ রয়েছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন জানান, আগামী কয়েক মাস পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, তাপমাত্রার কারণে কোনো ক্ষতি না হলে এবং কীটপতঙ্গের আক্রমন থেকে গাছগুলো রক্ষা পেলে আমের মুকুল ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. আলিম উদ্দিন বলেন, ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে মুনাফা অর্জন করায় চাষিরা আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, গোপালভোগ, লেংড়া, খিরসাপাট, ফজলি, নাকফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আম এই অঞ্চলে চাষ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেলে আগামীতে এই খাত দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম