কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মাগুরার মহম্মদপুরের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে যেন পেঁয়াজ ফুলের মেলা বসেছে! দূর থেকেই নজরে পড়ে ফুলের ওই সমাহার। কদম ফুলের মতো ক্ষেত ভরা পেঁয়াজ ফুলের দৃষ্টিনন্দন সমারোহ যে কাউকেই মুগ্ধ করছে। দেশের অন্যান্য পেঁয়াজ আবাদী এলাকার মতো মাগুরার মহম্মদপুরের মাঠে মাঠে এটি এখন চেনা দৃশ্য। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদর বাজারের সফল ব্যবসায়ী কাশেম আলী পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে ইতোমধ্যে সাফল্য পেয়েছেন। মূলত পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম ও পরিচর্যায় এক একর ১০ শতাংশের বিশাল ক্ষেতে স্বপ্ন রচনা করেছেন সৈয়দ কাশেম আলী নামের এই কৃষক। উপজেলার পোয়াইল গ্রামের কাশেম আলী পার্শ্ববর্তী ধোয়াইল মাঠে নিজের ১ একর ১০ শতাংশ জমিতে তাহিরপুরী জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে নিরন্তর শ্রম বিনিয়োগ করছেন।
কাশেম আলীর চোখেমুখে সাফল্যের হাসি ফুটতে শুরু করেছে। এখন বীজ ঘরে তোলার অপেক্ষা মাত্র। পেঁয়াজ বীজের ন্যায্য বাজারমূল্য পেলে ষোলআনা খুশি হবেন জানিয়ে কাশেম আলী বলেন, গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চাহিদা অনুয়ায়ী শ্রমিক লাগিয়ে জমি প্রস্তুত শেষে ১ একর ১০ শতাংশে ৩৩ মণ তাহেরপুরী পেঁয়াজ রোপণ (বীজ উৎপাদনের জন্য মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণ) করা হয়। এর পর সেচ, নিড়ানি, সার ও কীটনাশক প্রয়োগসহ নিবিড় পরিচর্যায় এখন গোটা ক্ষেত ভরে উঠেছে পেঁয়াজ ফুলে।
জমি কর্ষণ থেকে শুরু করে ৩৩ মণ পেঁয়াজ ক্রয় ও রোপণ, সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং নিড়ানিসহ এ পর্যন্ত তার আনুষঙ্গিক ব্যয়ের পরিমাণ ৯০-৯৫ হাজার টাকা। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সময়োপযোগী পরামর্শ ও সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে তিনি আশা করছেন ক্ষেতে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হবে বলেও আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ১১০ শতাংশ জমিতে ৭-৮ মণ পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হবে। কোন বিপর্যয়ে না পড়লে এবং বীজের ন্যায্য বাজার মূল্য পেলে কৃষক কাশেম আলীর ঘরে আসবে নগদ ৫ লাখ ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কাশেম আলী ছাড়াও এই উপজেলার ৪৩০ জন কৃষক পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে ৪০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সময়োপযোগী পরামর্শ গ্রহণের কারণে চলতি মৌসুমে কৃষকরা পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করা যায়।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম