কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আমাদের দেশের মানুষের কাছে অতি পরিচিত ফুল গন্ধরাজ। সুগন্ধে সেরা তাই নাম তার গন্ধরাজ। তবে এর আদি নিবাস চীন। মাঝারি আকৃতি ও উচ্চতার গুল্মজাতীয় ফুলগাছ। গাছের পাতা গাঢ় ও চির সবুজ। গাছের উচ্চতা ছাঁটাই বা প্রুনিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছোট-বড় করেও রাখা যায়। কাটিংয়ের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা হয়ে থাকে। সরাসরি মাটি ও টবে উৎপাদন উপযোগী ফুলগাছ।
গ্রীষ্মকালে গাছে ফুল ফোটে এবং ফুল ফোটার ব্যাপ্তি সব গ্রীষ্মকালজুড়ে। ফুল আকৃতিতে গোলাপের মতো। রং ধবধবে সাদা। নমনীয় কোমল অসংখ্য পাপড়ির সমন্বয়ে গঠিত গন্ধরাজ ফুল। পাপড়ির মধ্যে পরাগ অবস্থিত। ফুলে মিষ্টি ও তীব্র সুগন্ধ রয়েছে। গাছে ফুল রাতের বেলা ফোটে তাই রাতের সময়ে এবং ভোরবেলা বাগানের চারপাশ ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা করে রাখে। ফুল ফুটন্ত গাছের সৌন্দর্য বেশ মনোমুগ্ধকর।
আমাদের দেশের প্রায় বসত-বাড়ি, অফিস-আদালত প্রাঙ্গণে গন্ধরাজ ফুলগাছ চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির সীমানায় জীবন্ত বেড়া ও সৌন্ধর্য বর্ধনের জন্য অনেকেই গন্ধরাজ ফুলের কাটিং রোপণ করে থাকেন। রোপণকৃত গাছ ঝোপালো আকার ধারণ করে বলে দেখতে বেশ সুন্দর দেখায়। গন্ধরাজ ফুলগাছের কা- শাখা-প্রশাখা বেশ শক্ত হয়ে থাকে। ফুলের নির্যাস থেকে সুগন্ধী প্রস্তুত করা হয়। গন্ধরাজ বেশ কষ্ট সহনশীল ফুলগাছ। রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশে প্রায় সব ধরনরে মাটিতে এ ফুল উৎপাদিত হয়।
কৃপ্র/এম ইসলাম