কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আমকে বিভিন্ন ধরনের মড়কের আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাণিজ্যিকভাবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাগানগুলোতে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি জনপ্রিয় হচ্ছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই দুই জেলায় আম অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) এর সূত্র জানায়, সম্প্রতিক বছরে জেলার ৩২ হাজার ৮শ’ ১৬ হেক্টর জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে বিভিন্ন বয়সের ৩০ লাখ আম গাছ রয়েছে এবং বসতবাড়িতেও আমের বাগান করা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যাগিং পদ্ধতি যদি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহার অনেকাংশে কমে আসবে। নতুন এই প্রযুক্তিটি দুই জেলার আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। গত বছর দুই যাবত এ ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে রিজনাল হার্টিকালচার রিসার্স সেন্টার (আরএইচআরসি) এর বৈজ্ঞানীরা আম উৎপাদকদের মাঝে এই প্রযুক্তি বিতরণ করছে। কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান চীন থেকে আমদানীকৃত এসব ব্যাগ চাষীদের মাঝে প্রতিটি ৩ থেকে ৪ টাকা দামে বিতরণ করছে।
আরএইচআরসি এর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সরাফ উদ্দিন তার গবেষণার আলোকে জানান, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত আমের চেয়ে এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত আম বেশি বাজারজাতকরণ যোগ্য। আমদানীকৃত নিউজপেপার, পাতরা ও পুরু ম্যাগাজিন ছাড়াও স্থানীয় নিউজপেপার, লার্সবেন জাতের প্লাস্টিক দিয়েও ভালো ফলন পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে আমগুলো মড়ক ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষায় সহায়ক এবং আম ঝরে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। দুই ক্ষেত্রেই সহজে যা পাওয়া যায়, তা বিবেচনা রাখতে হবে। ব্রাউন পেপার ও স্থানীয় নিউজপেপার শুধু শুকনো মৌসুমে ব্যবহার করা যায়, তবে বর্ষা মৌসুমে এগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
কৃপ্র/এম ইসলাম