কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে যশোর জেলার ৮উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে এখন পাকা ধানের সমারোহ।কৃষাণ-কৃষাণী ব্যস্ত পাকা ধান কেটে মাড়িয়ে তা ঘরে তুলতে।পাকা ধান কাটার শুরুতে ধান-চালের দাম আশাতীত পাওয়ায় কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে হাসি ফুটেছে।ধান পেকে যাওয়ায় দিনমজুররা এখন কর্মব্যস্ত।একজন দিনমজুর প্রতিদিন ৮শ’ থেকে ১হাজার টাকা আয় করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৮ উপজেলায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৮৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।আবাদ হওয়া জমিতে ৬ লাখ ১১ হাজার ৮২১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশা পোষন করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সময়মতো উন্নতমানের বীজ,পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক চাষিদের মাঝে সরবরাহ করার কারণে জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে, মনিরামপুর উপজেলায় ৩২ হাজার ১শ’ হেক্টরে, কেশবপুরে উপজেলায় ১৫ হাজার ৯শ’১৪ হেক্টরে,বাঘারপাড়ায় উপজেলায় ১৩ হাজার ১শ’৫০ হেক্টরে,অভয়নগর উপজেলায় ১৬ হাজার ৮৭৪ হেক্টরে,শার্শা উপজেলায় ২০হাজার ৬শ’ হেক্টরে,ঝিকরগাছা উপজেলায় ১৬ হাজার ৪শ’৫০ হেক্টরে এবং চৌগাছা উপজেলায় ১১ হাজার ৬শ’৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছর এ জেলায় বোরো ধান চাষ বাড়ছে।বংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক বোরো ধান চাষের জন্য সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ প্রদান করেছে।এছাড়া উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের বীজ,চাহিদা অনুযায়ী সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকলে এ জেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।উৎপাদিত ধান থেকে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ধান-চাল অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভবপর হবে বলে তিনি (উপ-পরিচালক) জানান।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম