কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রের ইকোনোমিক জোনে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে নেয়া সরকারি সিদ্ধান্তের গেজেট বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সমুদ্রের এই অঞ্চলটিতে প্রতিবছর এই সময়ে মাছ ধরা যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সমুদ্রের তীর থেকে দুইশ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অঞ্চলকে এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন বিবেচনা করা হয়। সোমবার এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জানান, ২০১৫ সালের ২০ মে সমুদ্রের ইকোনোমিক জোনে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধে সিদ্ধান্তের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত প্রচারের জন্য গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। পরে ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মেরিন ফিসারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান ইকবাল চৌধুরী।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওই বছরের ৯ জুলাই মাছ ধরা বন্ধে গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুল খারিজ করে দিলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
কৃপ্র/এম ইসলাম