কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গতকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শরীয়তপুরে গাছ চাপা পড়ে ও মাগুরায় ঘর চাপায় এক গৃহীনিসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি গ্রামের তিন শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া গাছ চাপা পরে বেগম আক্তার (৪০) নামে এক নারী নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। বেগম আক্তার ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরপায়াতলি গ্রামের জিয়াউর রহমান সরদারের স্ত্রী।
বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে উপড়ে পড়েছে। বাতাসে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ ভেঙে পড়ায় বান্দরবানের সঙ্গে রাঙ্গামাটি জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ছয় ঘন্টা সড়ক চলাচল বন্ধ থাকার পর বিকেলে বান্দরবানের সঙ্গে বালাঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার সড়ক যোগাযোগ চালু হয়।
ভোলা জেলার মনপুরার ঝড় ও বৃষ্টিতে হাজীর হাট ইউনিয়নের লতিফ ভূইয়াবাড়ি সংলগ্ন পশ্চিম পাশের মেঘনায় ছয়জন জেলেসহ একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ট্রলারে থাকা সকল লোকজন সাঁতরে উপরে উঠেছে। ট্রলারে থাকা ইলিশ ও জাল নদীতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
ঝিনাইদহ জেলায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুটিয়া গ্রামের ওলিয়ারের স্ত্রী বিথি খাতুন ও তার ছেলে শামীম গ্রামের মাঠে উচ্ছে তুলতে যায়। এ সময় হঠাত্ বজ্রপাত হলে সেখানেই মারা যায় বিথি খাতুন। এতে আহত হন শামীম ও পাশের ক্ষেতে থাকা কৃষক আকরাম হোসেন।
ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায় ফসল, গাছপালা ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামে আব্দুল আলীর বসতঘরের উপর গাছ পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। অসংখ্য পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল, রাঢ়ীখাল ও বাঘরা এলাকায় প্রায় দুইশ বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ উপড়ে গেছে। দুটি গাভী মারা গেছে। এছাড়া ২০ জন আহত হয়েছেন। লৌহজং, টঙ্গীবাড়ি, সিরাজদিখান ও সদর উপজেলায় এই ঝড়ে গাছ উপড়ে গেছে।
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার গ্রামে সাজেদা খাতুন(৪০) নামে এক গৃহবধূ ঘর চাপায় মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের সৈয়দ মণ্ডলের মেয়ে। এছাড়া জেলার শ্রীপুর, সদর ও শালিখা উপজেলায় অনেক গাছ, বাড়িঘর বিধ্বস্ত ও ফসল নষ্ট হয়েছে।
চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া অনেক বসতঘর পড়ে গেছে, গোয়ালঘর, দোকান, জমির কাঁচা পাকা ইরি-বোরো ধান গাছ, আখ ক্ষেত, মরিচ ক্ষেত ও তিল ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম