কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন,এখনো পুরো ধান ওঠেনি। এ জন্য চালের দাম একটু বেশি। দেশে কোনো খাদ্যসংকট নেই, সংকট সৃষ্টি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীরা। তাই তিলকে তাল করে অহেতুক প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ জানান তিনি।
গতকাল বুধবার দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নিয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বোরো ধান প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবছর ধান ওঠার আগে এই সময়ে চালের দাম একটু বেড়ে যায়। এ বছর হাওরাঞ্চলের ধান নষ্ট হওয়ায় বাজারে চালের দাম একটু বেশি। তা ছাড়া এ অঞ্চলের ৯০ শতাংশসহ সারা দেশে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ধান এখনো ওঠেনি। তিনি বলেন,সারা দেশে বোরো মৌসুমে প্রতিবছর ১ কোটি ৯১ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়। এ বছর সারা দেশে ব্লাস্ট রোগে ছয় লাখ মেট্রিক টন এবং হাওরাঞ্চলে বন্যায় ছয় লাখ মেট্রিক টন ধান নষ্ট হয়েছে। মাত্র ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান নষ্ট হওয়ায় দেশে গজব নেমে আসবে না।
দেশে খাদ্যসংকট নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত। যদি মজুত না-ই থাকত, তাহলে দুর্যোগ এলাকায় সরকারের মজুত থেকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে কীভাবে? চাল আমদানিতে শুল্ক আরোপের ব্যাপারে তিনি বলেন, আগে চাল আমদানিতে শুল্ক ছিল না। সেটির সুযোগ নিয়েছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। সেটির সুযোগ নিয়ে তারা ভারতের চালে বাজার সয়লাব করেছিল। এ কারণে সেটি প্রত্যাহার না করেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দরপত্রের মাধ্যমে চাল সংগ্রহ করে ঘাটতি পূরণ করা হবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম