কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে একটি বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়াপাড়া এলাকা থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার দমদমিয়া নেচারপার্ক অভয়ারণ্যে শকুনটি অবমুক্ত করা হয়েছে। খবর প্রথম আলো।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার সকালে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়াপাড়া এলাকায় বিশাল আকৃতির একটি শকুন আকাশ থেকে পড়তে দেখে স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা মাটিতে পড়ে থাকা পাখিটিকে কৌশলে রশি দিয়ে বেঁধে বন বিভাগে খবর দেয়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ক্ষুধার্ত ও দুর্বল অবস্থায় শকুনটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে পাখিটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সুস্থ করে তোলার পর টেকনাফ সদরের বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন, মধ্য হ্নীলার বিট কর্মকর্তা আবদুল মতিন সরকার, হ্নীলার বিট কর্মকর্তা শহিদুল হক ও মোচনির বিট কর্মকর্তা আবদুল মালেক ও বনকর্মীদের উপস্থিতিতে পাখিটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
কায়ুকখালীয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করে দেখতে পাই একটি শকুন আকাশ থেকে পাশের বাড়ির উঠানে নেমে আসছে। এরপর কয়েকজন গ্রামবাসীর সহায়তায় পাখিটি ধরে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলি। দেখে মনে হয় পাখিটি আহত। পরে বন বিভাগের কর্মীদের খবর দিলে তাঁরা পাখিটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।’
বন বিভাগের টেকনাফ সদর বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধরা পড়া পাখিটি বিপন্ন প্রজাতির বাংলা শকুন। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় প্রচুর শকুনের দেখা মিললেও এখন এরা বিপন্নপ্রায়। শকুনটির ওজন ২০ কেজির মতো। শকুনটিকে দুই কেজি মুরগির মাংস ও পানি খেতে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পৃথিবীতে ২৩ প্রজাতির শকুন রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে ছয় প্রজাতির শকুনের দেখা পাওয়া যায়। এর মধ্যে এখন বাংলা শকুনটিই কোনোমতে টিকে আছে। খাবারের অভাব ও দলছুট হওয়ায় এটি লোকালয়ে চলে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন বিভাগের টেকনাফের রেঞ্জ কর্মকর্তা তাপস কুমার দেব বলেন, ‘শকুনটি টেকনাফের দমদমিয়া নেচারপার্ক অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রজাতির শকুন এখন বিলুপ্তির পথে।’
কৃপ্র/এম ইসলাম