কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষ করে বর্তমানে অধিক লাভবান হচ্ছেন জয়পুরহাটের আখ চাষিরা। ফলন বেশি হওয়া, বীজ কম লাগা, সময় নিয়ন্ত্রন , চারা রোপনের সুবিধা ও উৎসাহ হিসাবে সরকারি ভুর্তকি প্রদানের কারণে রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চিনিকল সুত্র জানায়, রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষ জয়পুরহাটের আখচাষিদের মাঝে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষে ফলন বেশি হওয়ায় সদর উপজেলার ভাদসা গ্রামের গোলাম মাহমুদ ২ একর, কুজিশহর এলাকার প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল ৭ একর, পলিবাড়ি এলাকার খাজেমুল ইসলাম ১ একর, চকশ্যাম এলাকার গোলাম মস্তোফা ৩ একর জমিতে এবার রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষ করেছেন বলে জানান। ২০১৫-২০১৬ আখ রোপন মৌসুমে রোপা পদ্ধতিতে আখ রোপনের জন্য ৩ হাজার ৮৭ জন আখ চাষিকে উৎসাহ হিসাবে ৭৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা ভুর্তকি প্রদান করা হয়েছে। ফলে রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষ করে বর্তমানে অধিক লাভবান হচ্ছেন জয়পুরহাটের আখ চাষিরা।
চিনিকল সূত্র জানায়, ফলন বেশি হওয়া, বীজ কম লাগা, সময় নিয়ন্ত্রন , চারা রোপনে সুবিধাসহ সহায়তা হিসাবে সরকারি ভূর্তকির কারণে দেশের ১৫ টি চিনিকলের মধ্যে জয়পুরহাটে কৃষকের মাঝে রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি ২০১৬-২০১৭ আখ রোপন মৌসুমে রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষ করেছেন ৪ হাজার ৬ শ ৩৩ জন কৃষক। রোপন কৃত জমির পরিমান হচ্ছে ১ হাজার ৭শ ৫২ একর। ফলে এবার রোপা পদ্ধতিতে রোপন কৃত আখ চাষিদের মাঝে প্রায় এক কোটি টাকা ভুর্তকি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষে কৃষকদের উৎসাহ প্রদানের জন্য একর প্রতি ৪ হাজার ৪ শ টাকা হারে ওই ভুর্তকি প্রদান করা হয়ে থাকে বলে জানান, জয়পুরহাট চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) কাজী মাহমুদুল হক।
চিনিকল সূত্র আরো জানায়, রোপা পদ্ধতিতে আখ চাষে ভুর্তকি ছাড়াও আখ চাষের জন্য সার, বীজ, কীটনাশক সহ সেচ কাজের জন্য নগদ টাকাও প্রদান করা হয় ঋণ হিসাবে। স্বল্প সুদে প্রদানকৃত ওই ঋণের টাকা চিনিকলে আখ সরবরাহের সময় পরিশোধ করার সুবিধা দেয়া হয়। চলতি মৌসুমে আখ চাষে ঋণ হিসাবে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিতরন করা হয়েছে। আখচাষিদের উৎসাহ হিসাবে প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি ২০১৬-১৭ মৌসুমে আখ রোপন, সরবরাহ ও ঋণ আদায়ে বিশেষ সফলতা অর্জন করায় ১৬ জন ইক্ষু উন্নয়ন সহকারিকে সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল।
সুত্র, বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম