কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টানা দাবদাহে রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুকুর ডোবা নালা খাল বিল ছড়া ও ঝর্ণাধারা শুকিয়ে গেছে। এ কারণে পাহাড়ে বসবাসকারীদের পানির কষ্ট চরমে উঠেছে। সাধারণ মানুষ পানির জন্য সর্বত্র ছোটাছুটি করছেন। কিন্তু হাতের কাছে বা লোকালয়ে কোথাও পানির দেখা মিলছে না।
এখানকার মানুষ দূর দূরান্তে কাপ্তাই লেক বা কর্ণফুলী নদী থেকে প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করছেন। পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী নারী-পুরুষ গোসল করা, থালা-বাসন হাড়িপাতিল পরিষ্কার করা, কাপড় ধোয়াসহ নিত্যনৈমিত্তিক কাজে পানির অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভাইজ্যাতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা বলেন, কাপ্তাই লেকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, নানিয়ারচর ইত্যাদি উপজেলায় এখন নৌ চলাচলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কাপ্তাই জেটি ঘাটের ইঞ্জিন বোটের চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন স্থানে বোটের পাখা মাটিতে লেগে যায়। ফলে অনেক সময় ফ্যানের পাখা ভেঙে যায়। এতে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন বলেন, সারা দেশে তীব্র খরা অনুভূত হচ্ছে। কোথাও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এ কারণে পাহাড়ি ছড়াগুলো শুকিয়ে গেছে। প্রতিবছর মে-জুন মাসে এরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে এবার খরার মাত্রা বেড়েছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আশা করি অচিরেই বৃষ্টি হবে। আর বৃষ্টি হলেই বর্তমান অসহনীয় অবস্থার অবসান হবে।
সুত্র, ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম