কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ লোডশেডিংয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি ও মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলোতে। জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে কারখানায় আর্থিক চাপ বাড়ছে। আবার, সময়মতো সরবরাহতে ব্যর্থ হলে বহির্বিশ্বে ক্রেতা হারানোর ঝুঁকিও বাড়ছে।
জানা গেছে, হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় নিরন্তর বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন হয়। চিংড়ি ও মৎস্য হিমায়িত ও প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজনে স্থানীয় কারখানাগুলোকে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ ঘণ্টা জেনারেটর চালাতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে হিমাগারের প্রয়োজনীয় বরফ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে বরফকলগুলোও বিপাকে পড়েছে। নিয়মিত বরফ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে পর্যাপ্ত বরফ না থাকায় মাছ সংরক্ষণে বেগ পেতে হচ্ছে।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি কাজি আমিনুল হক বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও রফতানি ভীষণভাবে ব্যাহত হবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, দু-তিনদিনের মধ্যে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যদি তা হয়, তাহলে রক্ষা।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু হাসান বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। সংযোগ মেরামতের কাজ চলছে।’
রফতানিকারকরা বলছেন, হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য রফতানি খাতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। এ শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত না হলে রফতানি ব্যাহত হবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম