কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসে বাড়তি লাভের আশায় প্রচুর পরিমাণে সবজি উৎপাদন করেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের কারণে দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাঠের পর মাঠ সবজি ফলিয়েও আশানুরূপ দাম পাওয়া যাবে কিনা এ নিয়ে শংকা তাদের। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ সবজি যশোর জেলাতেই উৎপাদন হয়।
বর্তমানে জেলায় ৮ উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র সদর উপজেলাতে ২ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে বেগুন, পটল, করলা, লাউ, শসা, কুমড়াসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে এসব সবজি বাজারে উঠতেও শুরু করেছে। তবে দাম নিয়ে হতাশ চাষীরা। সবজি চাষীরা বলেন, এখন যা পাচ্ছি তা দিয়ে কোনো রকম খরচ আসে লাভের কোনো আশাই করা যায় না। তারা আরো বলছেন, স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি বেগুন তারা বিক্রি করছেন সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অথচ কয়েক হাত বদল হয়ে সেটি রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
সাধারণ চাষীদের দাবি, খুচরা বাজারে সবজির আকাশছোয়া দাম থাকলেও নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় তাদের লোকশানের বোঝা বেড়েই চলেছে। ব্যাপারীরা জানান, সবজি কেজিপ্রতি ঢাকা নেয়ার খরচবাবদ ৫ থেকে ৬ টাকা টাকা হলেও তিনহাত বদল এবং পুলিশ ও ফেরিঘাটে টাকা দিতে হয়। একারণে তারাও লাভের মুখ দেখেন না। সাধারণ কৃষকের ন্যয্যমূল্য প্রাপ্তির জন্য কার্যকরী সরকারিভাবে পদক্ষেপের প্রত্যাশা সবজিচাষীদের।
কৃপ্র/এম ইসলাম