ড. মো. হুমায়ুন কবীর: আমি সবসময়ই একটি জিনিস বিশ্বাস করি আর তা হলো বাজেট বুঝতে হলে বড় কোন অর্থনীতিবিদের প্রয়োজন পড়ে না। আমার এ কথায় হয়তো অনেকে রাগ করে ফেলতে পারেন। কিন্তু রাগ কমানোর জন্য আমার লেখাটার দিকে অরেকটু অগ্রসর হলে হয়তো আর তা মনে নাও হতে পারে। আমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীলতার সাথে যার যার সংসার চালাই। সেই সংসার চালাতে গিয়ে আমাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব করতে হয়। যেমন আমি আমার নিজেরটা দিয়ে যদি উদাহরণ দিই তাহলে একটু পরিষ্কার হতে পারে। আমার মতো অন্য সবাই তাঁর নিজ নিজ ক্ষেত্রে আসলে তাই।
আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করি। সেখান থেকে আমার সার্ভিসের বিনিময়ে আমাকে মাসিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন প্রদান করা হয়। আমার যদিও বেতন বহির্ভূত অন্য কোন আয় নেই কিন্তু অন্য অনেক চাকুরিজীবীর আরো অনেক আয় থাকতে পারে। যেমন নিজের বাসাবাড়ির ভাড়া, নিজের জমির ফসল, সাইড ব্যবসা থেকে আয় ইত্যাদি। এগুলো থেকে আসা আয়ের সবগুলো একসাথে হিসাব করলেই মাসিক আয় পাওয়া যায়। এভাবে বারোমাস মিলেই তো বছর। তারপর আসা যাক ব্যয়ের দিকে। আমি আমার নিজের বাসায় থাকি বলে বাসাভাড়া দিতে হয় না কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে বাসাভাড়া, মাসিক খাবার খরচ, ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ, বাবা-মার ভরনপোষণ, বিয়ে-জন্মদিনের দাওয়াত খাওয়াসহ অন্যান্য সামাজিক দায়িত্ব পালন ইত্যাদি আরো নানান কিছু।
এভাবে হিসাব করে করে যদি একমাসের আয় দ্বারা মাসিক যাবতীয় ব্যয় মিটে যায় তাহলে তা হলো মাসিক সমন্বয় বাজেট। যদি মাস শেষে নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ মিটাতে গিয়ে ধার-দেনা হয়ে যায় তাহলে সেটি হলো ঘাটতি বাজেট। আর যদি খরচ মিটিয়ে মাস শেষে কিছু পরিমাণ টাকা বেঁচে যায় তাহলে সেটি হলো উদ্বৃত্ত বাজেট। এমনিভাবে বারোমাস একত্রে হিসাব করলে বাৎসরিক সাংসারিক বাজেট হয়ে যায়। আমরা প্রতিনিয়তই সাংসারিক এ জটিল ও কঠিন বাজেট করে যাচ্ছি এবং তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নও করে চলেছি মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। কাজেই এ সংসার নামক রাষ্ট্রের ক্ষুদ্র অংশে আমরা সবাই যার সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করে চলেছি। রাষ্ট্রের বাজেটও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। শুধু পার্থক্য হলো আকার নিয়ে। রাষ্ট্রকেও এভাবেই বাজেট করতে হয়।
কাজেই এখানে বলতে দ্বিধা নেই সংসারে যা রাষ্ট্রেও তাই। প্রতি ইংরেজি বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হলেও অর্থিক বছর ধরা হয় জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত। সেই হিসাবেই প্রতি অর্থবছরের শুরুতেই জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রীয় জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এবারে ১ জুন ২০১৭ তারিখে জাতীয় সংসদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ৪৬তম জাতীয় বাজেট হিসেবে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর ব্যক্তিগত একাদশতম এবং একনাগারে আওয়ামীলীগ সরকারের নবম বাজেট এটি।
এবারের বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিক নিয়ে আমি এখন একটু আলোপাত করবো। টাকার অংকে বাংলাদেশ সরকারের বাজেটটি একটি ঐতিহাসিক বাজেট। কারণ এবারই প্রথম ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার এ বিশাল বাজেট যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাজেট হিসেবে পরিচিত। এখানে আমি বাজেটের উল্লেখযোগ্য কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরছি। মোট ব্যয়ের প্রাক্কলন ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা, আয় ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, ঘাটতি ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪, মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫। বাজেটের অরো কিছু বিশেষ দিক হলো- ব্যাংকে লাখ টাকার বেশি জমা রাখলে কিংবা উত্তোলন করলে সরকারকে ৮০০ টাকা শুল্ক দিতে হবে। ভ্যাট পরিশোধের ফ্লাডরেট হলো ১৫%, ভ্যাট অব্যাহতির সীমা বছরে ৩৬ লাখ টাকা। পূর্বের করমুক্ত সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। একটি পরিবারে যদি সকল সদস্য কর পরিশোধ করেন তাহলে তাকে ’কর বাহাদুর পরিবার’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।
কথা উঠেছে যে বাজেট ঘোষিত হওয়ার পর কিছু কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়বে, সেইসাথে বাড়তে খরচও। কারণ ব্যক্তি শ্রেণির কর পরিশোধের জন্য পূর্বের সিলিং না বাড়িয়ে একই রাখা হয়েছে। আগে যেখানে আইটেমওয়ারি ভ্যাট পরিশোধের পরিমাণের হেরফের ছিল কিন্তু এবারে সেটিকে এক পাল্লায় আনয়ন করা হয়েছে অর্থাৎ ফ্লাডরেট ১৫%। ধারণা করা হচ্ছে এতে ব্যক্তি শ্রেণির করের বোঝা বৃদ্ধি পেয়ে মানুষের কষ্ট বাড়তে পারে। ।
বর্তমান সরকার মৃক্তিযোদ্ধা বান্ধব। আর সেকারণেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দুটি উৎসব ভাতার সুবিধা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতনভাতা ও পেনশনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার কোটি টাকা, সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৪১ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকের মূলধন পূরণে রাখা হয়েছে ২০০০ কোটি টাকা। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। বাড়ানো হয়েছে শিক্ষা ও কৃষি খাতেরও বরাদ্দ। যেমন শিক্ষা খাতে গত বছরের বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ১১ শতাংশ। কিন্তু এবারের বাজেটে কমে গিয়ে মোট বাজেটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। একই অবস্থা কৃষি খাতেও। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেটের শতকরা পরিমাণ কম হওয়ায় স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যেমন শিক্ষা ও কৃষিখাতের বাজেটের ক্ষেত্রে আকার বৃদ্ধি পাওয়ায় শতকরা হার কমলেও টাকার অংকে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যখাতেও বরাদ্দ বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা। পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। এবারো কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
অবকাঠামোতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু, সেখানে রেল ও সড়ক সংযোগ, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ি প্রকল্পসহ সাত মেঘা প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৩১ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আগের বছরের তুলনায় বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। এতে গ্যাস ও সৌর প্যানেলের দাম বাড়বে কিন্তু এলপি গ্যাসের দাম কমবে। রাখা হয়েছে নারী ও শিশু উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ।
বাজেটে উপরোক্ত প্রয়োজনীয় অনেক ভালো ভালো দিক থাকার কারণে সরকারি দল আওয়ামীলীগ এ বাজেটকে গণমুখী ও প্রতিশ্রুতি পূরণের বাজেট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু দেশের নেতিবাচক রাজনৈতিক কালচারের অংশ হিসেবে সংসদের বাইরে থাকা দল বিএনপি প্রতিবারের মতো এবারেও আওয়ামীলীগ সরকারের বাজেটকে গরীব মারার বাজেট এবং পকেট ভারী বরার বাজেট বলে সমালোচনা করেছে। সমালোচনা করেছে বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক সংগঠনগুলোও।
তবে বিশ্লেষকগণ মনে করছেন বাজেটটি বিশাল আকৃতির এবং বাস্তবায়নে সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। সিপিডি মনে করে এতে জীবনযাত্রার ব্যয় ও মান বাড়তে পারে। তবে তারা এ বাজেটের প্রত্যাশার সাথে একমত পোষণ করেছে। তাছাড়া সকল মহল থেকে বাজেটটিকে একটু উচ্চবিলাসী বললেও ইতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে মাত্র দুটি জায়গায় এসে। সেগুলো হলো আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাটের ফ্লাডরেট।
এ দুটি বিষয় নিয়েই এখন সংসদের বাইরে পক্ষে-বিপক্ষে সভা সেমিনারে পত্র-পত্রিকায়, টিভি টকশোতে তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার মানুষজন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ ব্যাবসায়ীদের বিভিন্ন শীর্ষ সংগঠনগুলোর মধ্যে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, রিহ্যাব ইত্যাদি প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এ দুটি বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে নেতিবাচক প্রভাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের’ শীর্ষক শ্লোগানকে সামনে নিয়ে যে বাজেটের যাত্রা শুরু হয়েছে, সেখানে ভ্যাট এবং আবগারি শুল্ক নিয়েই সবার মধ্যে অসন্তোষ বিরাজমান বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
তবে সংসদের বাইরে বাজেটের সপক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনা যাই হোক না কেন আসল বিষয়টি ঘটবে জাতীয় সংসদের ভিতরে। কারণ আলোচনার পর সেখানেই সংশোধনের পর মূল বাজেট পাশ হবে। এখন বাজেট সেশনে বক্তৃতায় প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনা চলছে। সংসদের বাইরে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেগুলোই আবার সংসদের আলোচনাতেও স্থান পাচ্ছে। সরকার ও বিরোধীদলীয় এবং স্বতন্ত্র সদস্যবৃন্দ এসব বিষয় উল্লেখপূর্বক বক্তব্য প্রদান করছেন। কারণ সবাই মনে করছেন আবগারি শুল্ক বাড়ার জন্য ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য আকারে কমে যেতে পারে। অপরদিকে ভ্যাট বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দ্রব্যমূল্যসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়ে উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে আশার কথা, এসব কিছুর শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণও তাই মনে করেন। সকল পর্যায়ের মানুষের প্রতিক্রিয়াকে তিনি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অতীতে প্রতিবারেই তিনি এর প্রমাণ রেখেছেন। এবারেও এটাই করবেন বলে সকলের প্রত্যাশা। তিনি ইতোমধ্যে সম্প্রতি সাংবাদিকদের আয়োজনে একটি ইফতার মাহফিলে তাঁর বক্তৃতায় এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাজেট বক্তৃতা শেষ হলে সংসদে তাঁর ক্ষমতাবলে জনবান্ধব কিছু সংশোধনী আনয়ন করে থাকেন।
বাজেট ঘোষিত হওয়ার পর নেতিবাচক বিষয়গুলি নিয়ে যেভাবে আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে সেভাবে ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করতে তেমন একটা দেখা যায়না, কার্যত সেরকম কোন রেওয়াজও যেন নেই। আমরা দেখছি যতই দিন যাচ্ছে ততই বাাজটের আকার বৃদ্ধি পচ্ছে, সেইসাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে অভ্যন্তরীণ আর্থিক সক্ষমতা। যেকারণে বাজেটে এখন দিন দিন বিদেশ নির্ভরতা কমে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্পও এখন দেশীয় অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ, যার সুফল পাচ্ছে প্রতিটি নাগরিক।
বর্তমানে রমজান মাস চলমান। রীতি অনুযায়ী রমজান মাস এলেই রমজানের সাথে সংশ্লিষ্ট নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাকি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবারের রমজানেও কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছেও। তারউপর এরই মধ্যে জাতীয় বাজেট ঘোষিত হয়েছে। দেখা গেছে, বিগত সরকারগুলোর সময়ে যেদিন সংসেদে বাজেট পেশ করা হতো সেদিনই হুড়হুড় করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়ে যেতো। কিন্তু এবারে রমজানের মধ্যে বাজেট দেওয়া হলেও বাজেটের জন্য তাৎক্ষণিক কোন দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঘটেনি।
আমরা জানি, উন্নয়নের জন্য যে অর্থ দরকার তার সংস্থান বাজেটে রাখতে হলে সেটি আয়েরও ব্যবস্থা রাখতে হবে। আর সেই আয় বাড়ানোর একমাত্র খাত হচ্ছে নাগরিকদের উপর করারোপ। কাজেই এমনি একটি অবস্থায় যেখানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, চাকুরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে, সেখানে তাদের উপর অল্প পরিমাণ করারোপ করে বাজেটের আকার বৃদ্ধির বিষয়টিও সহজে মেনে নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে আমরা উন্নয়ন চাই, বিদেশ নির্ভরতা চাই না, ঋণগ্রস্ত হতে চাই না, অথচ কর বাড়ানো হবে না, তা হতে পারে না। সেজন্য আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের কিছুটা করের বোঝা তো আমাদের নিতেই হবে। কিন্তু তার মধ্যেও সংসদের আলোচনার পর ভ্যাট এবং আবগারি শুল্কের বিষয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে একটি জনবান্ধব পরিণতি হবে বলেই সকলের প্রত্যাশা।
লেখক: ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়