কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গ্রামীণ জনপদের মানুষের অতি চেনা ও প্রিয় ফুল হিজল। হিজলের আদি নিবাস অস্ট্র্রেলিয়া হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর বিস্তৃতি ব্যাপক। মাঝারি আকারের চিরহরিৎ বৃক্ষ হিজল। হিজল গাছের কচিপাতা প্রাথমিক পর্যায়ে লালচে রঙের হয় এবং পাতার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রং পরিবর্তিত হয়ে উজ্জ্বল সবুজ রং ধারণ করে। গাছের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত। পাতার শিরা-উপশিরা স্পষ্ট ও পাতা বেশ পুরু। ফুলের মঞ্জুরি বেশ লম্বা। লম্বায় প্রায় এক থেকে দেড় ফুট হয়ে থাকে। অন্যসব ফুলে এমন লম্বা মঞ্জুরি খুব কমই চোখে পড়ে। প্রথমে গাছের শাখা-প্রশাখায় সবুজ রঙের অসংখ্য ঝুলন্ত মঞ্জুরি দেখা যায় ও তারই সঙ্গে গুটি-গুটি ফুলকলি দেখা দেয়।
নির্দিষ্ট সময় পর ফুলকলি ও মঞ্জুরির রং পরিবর্তন হয়ে গোলাপি লাল রং ধারল করে। ফুটন্ত ফুলে মৃদু সুগন্ধ রয়েছে। গাছের সবুজ পাতা ও শাখা-প্রশাখার নিচে লম্বা মঞ্জুরিতে গোলাপি লাল রঙের রেশমি কোমল ফুল দেখতে খুবই মনোরম। সাধারণত গ্রীষ্মের শেষদিক থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে বর্ষার শুরুতে গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। ফলে কামরাঙার মতো খাঁজ থাকে। বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়।
হিজলগাছের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ঔষধিগাছ হিসেবে হিজল বেশ পরিচিত। হিজল বেশ কষ্ট সহিষ্ণু গাছ। জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে। তা ছাড়া অযত্ন অবহেলায়ও এর বংশ টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। আজকাল হিজলগাছ কম চোখে পড়ে। বিভিন্ন কারণে ধীরে ধীরে আমাদের দেশে হিজলগাছ কমে যাচ্ছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম