কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
কনক অর্থ স্বর্ণ এবং চূড়া অর্থ উঁচু। কনক বা সোনার মতো উজ্জ্বল মনকারা রঙ বলেই হয়তো এমন নাম। কৃষ্ণচূড়ার মতো এটিও Fabaceae পরিবারের সদস্য। বৈজ্ঞানিক নাম- Peltophorum pterocarpum । অন্যান্য নাম- স্বর্ণচূড়া, হলুদচূড়া, Copperpod, Golden Flamboyant, Yellow Flamboyant, Yellow Flame Tree, Yellow Poinciana প্রভৃতি।। পাতা ক্ষুদ্রাকৃতির ও যৌগিক, চিরুনির মতো সাজানো থাকে, রং উজ্জ্বল সবুজ রঙের ও তলদেশ ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে।
গ্রীষ্ম ঋতুতে গাছে ফুল ধরে। ফুলের রং সোনালি হলুদ থেকে কমলা-হলুদ রঙের। নমনীয় কোমল পাঁচটি পাপড়ি মধ্যে পরাগদ- অবস্থিত। এ ফুলের সুগন্ধ বেশ মাদকতাপূর্ণ। ফুলের ঊর্ধ্বমুখী মঞ্জুরি এবং মঞ্জুরিতে প্রথমে নিচ থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ওপরের দিকের ফুলগুলো ফোটে। গাছের প্রতি শাখা-প্রশাখায় অসংখ্য ফুল ফোটে। ফুল ফুটন্তগাছ দেখতে অত্যন্ত নজরকাড়া যা দূর থেকেও চোখে পড়ে। ফুল ফোটার ব্যাপ্তি গ্রীষ্ম পর্যন্ত। ফুল শেষে গাছে ফল হয়। ফলের আকার-আকৃতি শিমের মতো প্রথমে সবুজ রং ও পরিপক্ব ফলের রং তামাটে বর্ণের হয়ে থাকে।
বীজ থেকে কনকচূড়ার বংশবিস্তার হয়ে থাকে। কনকচূড়ার আদি নিবাস শ্রীলংকা। তবে মালয়েশিয়া, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায়ও এ ফুলগাছের দেখা মেলে তবে পরিমাণে কম। বিভিন্ন স্থানের পার্ক, সড়ক মহাসড়কের ধার ও বিক্ষিপ্তভাবে গ্রাম-গঞ্জের কোনো কোনো স্থানে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ফুলগাছ চোখে পড়ে। গাছের কাঠ বেশ শক্তমানের, চামড়া বেশ পুরু হয়ে থাকে, রং ধূসর বর্ণের।
কৃপ্র/এম ইসলাম