মোঃ আরিফুর রহমান ।।
বৈশাখের রোদ্দুরে তপ্ত বাংলার বাতাস। কৃষ্ণচূড়া জানান দিচ্ছে তার সৌন্দর্যের বার্তা। প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়। এ যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়েছে প্রকৃতি।কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কায় এছাড়া ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, আফ্রিকা, হংকং, তাইওয়ান, দণি চীন, বাংলাদেশ ও ভারতসহ অনেক দেশেই এটি জন্মে। কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেগিরু। এটি ফ্যাবাসিয়ে পরিবারের অন্তর্গত।
কৃষ্ণচূড়া উচ্চতায় সাধারণত ১২-১৫ মিটার হয় কিন্ত এর ব্যাপ্তি বেশ প্রশ্বস্ত। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো বড় ৭-৮টি পাপড়িযুক্ত গাঢ় লাল। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত।বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় বিভিন্ন। যেমন আরব আমিরাতে সেপ্টেম্বরে, ক্যারিবিয়ানে মে থেকে সেপ্টেম্বর, ভারতে এপ্রিল থেকে জুন, অস্ট্রেলিয়ায় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
গ্রীষ্মের এ সময়টায় বাংলাদেশের সব জায়গাই কম বেশী চোখে পরে চোখ ধাঁধানো লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন আগুন জ্বলছে।
কৃষ্ণচূড়াকে সাধারণত আমরা লাল রঙেই দেখতে অভ্যস্ত। তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া তিনটি রঙের হয়। লাল, হলুদ ও সাদা। কম হলেও চোখে পড়ে হলদে রঙের কৃষ্ণচূড়া। তিন রঙেরই ফুল ফোটে প্রায় একই সময়ে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম