কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
জারুল গ্রীষ্মকালে বাংলার প্রকৃতিতে আগমন ঘটে আর শরতে বিদায় নেয় । সবুজ পাতার মাঝে ফোটে থোকা থোকা বেগুনি রঙা ফুল।। এ যেন সবুজের ক্যানভাসে বেগুনি রঙের আলপনা। বাংলার আনাচে কানাচে বেগুনি রঙের আভা নিয়ে আপন মহিমায় প্রকৃতিতে প্রশান্তির শুভ্রতা নিয়ে আগমন ঘটে জারুলের।
সুইডেনের বৃক্ষপ্রেমী লেজারস্ট্রমের নাম অনুসারে এর নাম হয়েছে ‘ল্যাজারস্ট্রমিয়া’ জারুলের বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাজারস্ট্রমিয়া স্পেসিওজা। স্পেসিওজা এর মানে সুন্দর। জারুল ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুলের দেখা মেলে।
জারুল কাঠ লালচে রঙের, অত্যন্ত শক্ত ও মূল্যবান। ঘরের কড়িবরগা, লাঙল, আসবাবপত্র ইত্যাদি বহুকাজে ব্যবহার করা হয়। শুধু সৌন্দর্য ছড়ানোয় নয়, ভেষজগুণ সম্পন্ন এই জারুল। জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্ণতায় উপকারী।
কবি জীবনানন্দ দাশের দৃষ্টি এড়ায়নি জারুল। প্রকৃতির এ কবি লিখেছেন, এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে, সবচেয়ে সুন্দর করুণ, সেখানে সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুকুপী ঘাসে অবিরল, সেখানে গাছের নাম: কাঁঠাল, অশ্বথ, বট, জারুল’।
কবি আহসান হাবীব তার কবিতায়, লিখেছেন এই ছবিটি চেনা, মনে মধ্যে যখন খুশি, এই ছবিটি আঁকি, এক পাশে তার জারুল গাছে, দু’টি হলুদ পাখি’।
কৃপ্র/এম ইসলাম