নদী তীরবর্তী জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে কৃষকদের পরামর্শ
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বৃষ্টির পানিতে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার নদী তীরবর্তী হাওরের বোরো জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত দু’তিনদিন ধরে এমনটি জানিয়ে নদী তীরবর্তী জমির পাকা ধান দ্রুত কেটে নিরাপদ স্থানে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বাংলাদেশ ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর থেকে গাণিতিক মডেলের আবহাওয়া পূর্বাবাস সূত্রের বরাত দিয়ে নেত্রকোনা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান জানান, রবিবার থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভী বাজার, ও তত্ সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার অনেক স্থানে তিন দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সুরমা কুশিয়ারা ধনু সুমেস্বরীসহ এ অঞ্চলের প্রভৃতি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে অতিক্রম করে নদী তীরবর্তী হাওরের বোরো ফসলে আঘাত হানতে পারে। তাই হাওরে পাঁকা ধান খুব দ্রুত কেটে নিরাপদ স্থানে নেয়ার জন্য ফেইজ বুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে নেত্রকোনা পাউবো।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু জানান, গত বছর আগাম বন্যার পানিতে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার শতভাগ বোরো ফসল তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছিল। তাই এবার এখানকার ফসল রক্ষা জন্য বরাদ্দ দ্বিগুনেরও বেশী বাড়িয়ে ১১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধ।
খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জেলার একমাত্র বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল খালিয়াজুরী উপজেলার পুরোটিই হাওরাঞ্চল। এখানে এবার বোরো আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে। ওই সমস্ত জমির ধান উত্পাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৭ হাজার মেট্রিক টন। এবছর হাওরে ব্রি-২৮ জাতের ধান রূপন করা হয়েছে শতকরা ৯০ ভাগ জমিতে।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাবার শঙ্কায় হাওরের বোরো ধান দ্রুত কেটে ফেলতে জেলা প্রশাসন থেকেও কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলার প্রত্যেক উপজেলার ইউএনও এবং জন প্রতিনিধিদেরকে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
সুত্র, ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম