কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
এর মধ্যে ৪ দিনের টানা বর্ষণ ও কালবৈশাখী ঝড়ে নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় পড়ে গেছে ইরি-বোরো আধা পাকা ধান। দফায় দফায় ঝড়, বৃষ্টি আর কিছু কিছু স্থানে শিলা বৃষ্টির কারণে ধান মাঠে বিছানার মতো পড়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।পড়ে যাওয়া ধান কাটার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না শ্রমিক। শ্রমিক পাওয়া গেলেও কৃষকে দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ মূল্য। ঝড়ে ধান পড়ে যাওয়ার কারণে বিঘা প্রতি ৪-৫ মন হারে ধানের ফলন কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন উপজেলার কৃষকরা। খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে আটটি ইউনিয়নে ১২ হাজার ১শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষি অফিসের পরামর্শে সঠিক সময়ে চারা লাগানোর পড়, যথা সময়ে সেচ দেয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলার কৃষকরা জিরাশাইল, খাটো-১০, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান চাষ করেছেন। নতুন ধান কাটার শুরুতেই বিঘা প্রতি ২১-২৩ মন হারে ধান উত্পাদন হচ্ছে।
উপজেলার কোমারপুর গ্রামের কৃষক মো. আতাউর রহমান জানান, আমি এ বছর ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এবার আবহাওয়া ভাল ও পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভাল হয়েছে। কিন্তু সমস্যা একটাই ধান কাটার শ্রমিক সংকট। দিন যাচ্ছে আর এই সমস্যা প্রকট আকার ধারন করছে। ধান কাটার সময় এলেই আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়।
চাংলা গ্রামের কৃষক মো: পলাশ হোসেন বলেন আমি চলতি মৌসুমে ৯ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান কাটার শুরুতেই আবহাওয়া ধানের অনুকূলে থাকলেও কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড়, ও বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার অর্ধেক জমির আধাপাকা ধান পড়ে গেছে। এতে করে বিঘা প্রতি ধানের ফলন অনেক কম হবে।
অপরদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে সঠিক সময়ে ধান কাটতে পারছি না কৃষরা। বদলগাছী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসান আলী জানান, ইরি-বোরো ধান লাগানোর শুরু থেকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড়, বৃষ্টিতে ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া ভালো থাকলে ও বাজারে ধানের দাম ভাল থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন তিনি আশা করছেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম