কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি, নালিতাবাড়ীতে ও শ্রীবরর্দী উপজেলায় চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি নেই। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি মণ চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ২শ’-৩শ’ টাকায়। দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম আর পুঁজি খাটানোর পর উৎপাদন খরচ ওঠানোই দায় হয়ে পড়েছে, এমন দাবি স্থানীয় কৃষকদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সব স্থানেই মোটামুটি চিচিঙ্গার আবাদ হয়।
তবে সীমান্ত্মবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতির সুরিহাড়া, পাগলারমুখ, বনগাঁও, বগাডুবি, কালীনগর, কোণাগাঁও, গৌরীপুর, নলকুড়া ও নালিতাবাড়ীর রামচন্দ্রকোড়া, কাকরকান্দি, পোড়াগাঁও ও শ্রীবরর্দী উপজেলার বাবলাকোনা, নেওয়াবাড়ি, হাড়িয়াকোণা এবং গারোপাড়া এলাকার মাটি চিচিঙ্গা চাষে বিশেষ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে চিচিঙ্গার আবাদ করে থাকেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে সঠিক দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার এবার ৫ উপজেলাতেই কমবেশি চিচিঙ্গা চাষ হয়। তবে সীমান্ত্মবর্তী নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দী উপজেলার পাহাড়ি ভূমি চিচিঙ্গা চাষে বেশি উপযোগী। ওই তিন উপজেলাতেই এবার প্রায় ১শ’ হেক্টর জমিতে চিচিঙ্গার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইগাতির পাহাড়ি এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি চিচিঙ্গার চাষ হয়েছে।
ঝিনাইগাতি উপজেলার সবজির পাইকারি বাজার বগাডুবি ব্রিজ এলাকায় দেখা গেছে ২৫০ টাকা মণ দরে পাইকারদের কাছে কৃষকরা চিচিঙ্গা বিক্রি করছেন।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, কদিন আগেও চিচিঙ্গার দাম ভালো ছিল। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে তবে দাম আবারও বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম