কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট ।।
দেশের অধিকাংশ জায়গায় ধান পেকে সোনালি রং ধারণ করেছে। আর এবার সারা দেশেই বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে।কিন্ত গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও ঝড়োহাওয়ায় ধান মাটিতে লুটে পড়া ও পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে । অনেকস্থানে ক্ষেতের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ভাসছে লাখো কৃষকের স্বপ্ন।গত বারের বন্যার ক্ষতি কিছুটা কাটানোর স্বপ্ন আবারও পানিতে ভাসছে।
কৃষকরা বলছেন আবহাওয়া অনুকূলে না এলে পানিতে নিমজ্জিত ধান পচতে শুরু করবে। আর ফলন অনেক কম হবে। তবে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও লক্ষ্যপূরণের কথা বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে কমবেশি সারাদেশেই। কোন কোন জেলায় মাত্রা অনেক বেশি। আবার একাধিক জেলার কৃষকরা ফসল হারানোর আশঙ্কায় বৃষ্টিপাতের মধ্যেই আধাপাকা ধান কেটে ফেলেছেন।
টানা কয়েকদিনের বর্ষণে চলনবিলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই ও নাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অঞ্চলের লক্ষাধিক কৃষক এখন আতঙ্কিত। অনেক বোরো ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কাঁচা-আধাপাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কৃষক। চলনবিলে মিনিকেট, কাটারিভোগ, বি-আর ২৮, বি-আর ২৯ জাতের বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও ধান কাটার ভরা মৌসুমে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ডুবে গেছে নিম্ন অঞ্চলের পাকা বোরো ধান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় ধান কাটা ও শুকোতে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে কোথাও বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে বা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ৪৭ লাখ হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে আবাদ কিন্ত সেখানে লক্ষ্যের চেয়ে অনেক বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। ৫০ লাখ হেক্টরের মতো জমিতে আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কৃপ্র/এম ইসলাম