কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
উত্তরাঞ্চলের আমন ধান আবাদে দেশের সবর্বৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৫ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা পেতে শুরু করেছে। এতে চলতি আমন মৌসুমে বৃষ্টির অভাবে খরা মোকাবেলায় তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প কৃষকদের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। খবর দৈনিক সমকাল অনলাইনের।
তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় দেখা গেছে প্রথম পর্যায়ে চালু থাকা ৭১০ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার ক্যানেলজুড়ে সেচের পানিতে ভরে উঠেছে। এখন প্রতিদিন ৩৩ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার প্রধান ক্যানেল, ৭৪ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার মেজর সেকেন্ডারি সেচ ক্যানেল, ২১৪ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সেকেন্ডারি ক্যানেল ও ৩৮৭ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার টারশিয়ারী ক্যানেলে ১২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর পাঁচ হাজার কিউসেক করে সেচ পাচ্ছে কৃষক।
পযার্প্ত বৃষ্টির অভাব এবং কোথাও কোথাও অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না। পাশাপাশি রোপণকৃত আমনের চারাগুলো পানির অভাবে বিনষ্ট হতে বসেছে। সেখানে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সেচ প্রবেশ করেছে।
ব্যারাজ পয়েন্টে পানির উথাল ঢেউ। পানিতে যেমন ভরে উঠছে নদী, তেমনি ৭১০ কিলোমিটারজুড়ে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের সব সেচ ক্যানেল পানিতে টইটম্বুর। তাই রোপা আমন ধান আবাদে খরা মোকাবেলায় দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ থেকে গত ১৬ জুলাই হতে সম্পূরক সেচ প্রদান শুরু করা হয়।
রংপুর কৃষি অঞ্চল কাযার্লয় সূত্র জানায়, রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় চলতি ২০১৮-১৯ মৌসুমে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাত ৩৭ হাজার ৬৬২ হেক্টরে , উফশীজাত পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৮০৫ হেক্টরে ও স্থানীয় জাত ২৯ হাজার ৭১৭ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে নীলফামারীতে এক লাখ ১২ হাজার ৩৫৮ হেক্টর, রংপুরে এক লাখ ৬৪ হাজার ১৫৯ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৮৪ হাজার ৮৪৫ হেক্টর, গাইবান্ধায় এক লাখ ১৭ হাজার ৫৪৯ হেক্টর ও কুড়িগ্রামে এক লাখ ১৫ হাজার ২৭৩ হেক্টরসহ মোট পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৪ হেক্টরে।
কৃষি বিভাগের মতে রোপা আমনের চারা লাগানোর শেষ সময় রয়েছে আগামী ১৫ আগস্ট পযর্ন্ত। তবে যারা আগাম ব্রিধান-৩৩, বিনা-৭সহ স্বল্প মেয়াদি রোপা আমন ধান আবাদ করছে তাদের সেচের মাধ্যমে চারা রোপণে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তিস্তা সেচ ক্যানেল এসওয়ানটি পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেলের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ফলে এলাকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হবে। সেচ ক্যানেল সংস্কার না করার কারণে প্রচুর পানি থাকলেও কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের্র সম্প্রসারণ কমর্কতার্ রাফিউল বারী বলেন, চলতি মৌসুমে তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওয়ার ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হলেও ইতোমধ্যে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান হয়েছে। অবশিষ্ট জমিতে সেচ প্রদানের কাযর্ক্রম চলমান রয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম