কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চত্বরে ফলেছে আরবের খেজুর। একটি গাছে ১৩টি বড় বড় থোকার সেই খেজুর দেখতে ভিড় করছেন উৎসাহীরা। আর খেজুর গাছটির রক্ষণাবেক্ষণ করতে জাল দিয়ে ঘেরাও করে রাখা ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পশ্চিম পাশের সিঁড়ির পাশেই খেজুর গাছটি। আর সেই গাছ নিয়ে উৎসাহ দেখা দিয়েছে সংসদের কমর্কতার্-কমর্চারী ছাড়াও দর্শনার্থীদের। সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ কমর্কতার্ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘গাছের ধারেকাছে যেন কেউ যেতে না পারেন সেজন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে। গাছটি পযার্য়ক্রমে পাহারা দেয়া হচ্ছে।’
খেজুর গাছটির বয়স ৬-৭ বছর বলে জানিয়েছেন ফল উন্নয়ন প্রকল্পের পরামশর্ক এস এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘মাত্র একটি গাছ হওয়ায় পুরুষ রেণু ছিটিয়ে গাছটিতে খেজুর ফলানো হয়েছে। ওই গাছ থেকে প্রায় দুই মণ খেজুর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মাচর্ মাসে খেজুর ধরেছে। সেপ্টেম্বর মাসে এসব খেজুর পরিপক্ব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজারের মতো ১৮টি উন্নত জাতের খেজুর গাছের চারা দেশে আনা হয়েছে। এদের ৮০ শতাংশ নারী জাতের। বাকিগুলো পুরুষ।
জাতীয় সংসদের সহকারী সচিব এ বি এম বিল্লাল হোসেন জানান, বাংলাদেশে খেজুরের চাহিদা প্রচুর। আমরা সবাই খেজুর খাই। কিন্তু গাছ দেখা হয় না। এজন্য সংসদ চত্বরে আরব দেশের খেজুর গাছ দেখতে যাচ্ছেন অনেকে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে বাংলাদেশেও এটির চাষ হতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিবিদ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চারা করে আরবীয় খেজুর গাছ লাগাতে হয়। বীজ থেকে খেজুর হবে কিনা নিশ্চিত হতে ৫-৬ বছর লেগে যায় এবং পুরুষ গাছ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই টিস্যু কালচারের মাধ্যমে গাছ লাগানো উচিত।’
জানা গেছে, সংসদ এলাকায় ১৩৪টি আম, ১১৯টি কঁাঠাল ও ২৪৯টি নারিকেল গাছ আছে। এছাড়া রয়েছে কয়েকশ দেশীয় খেজুর গাছ। কিন্তু আরবের খেজুর গাছ শুধু একটিই। সংসদ এলাকার পাশে আরও কয়েকটি আরবের খেজুর গাছ থাকলেও সেসব গাছের খেজুর সংরক্ষণ করা যায় না। তাই ভেতরের গাছটির খেজুর রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তথ্য সুত্র, যায়যায় দিন/ কৃপ্র/এম ইসলাম