কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
কুড়িগ্রামে বৃষ্টির দেখা নেই। রোপা আমন ধান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। ফলে বর্ষার ভরা মৌসুমেও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টিপাত না থাকায় বাধ্য হয়ে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কৃষকরা আমনের চারা রোপণ করছে শ্যালো মেশিন ও বিভিন্ন ধরণের সেচযন্ত্র বসিয়ে। আমনের চারা রোপণ করার এক থেকে দেড় মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় বৃষ্টির দেখা নেই।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শতশত জমির আমন ক্ষেত খরার কবলে পড়ে ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন। এমনিতে আমন মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষকরা অতিরিক্ত খরচ বহন করে জমি তৈরি থেকে চারা রোপণ করা পর্যন্ত শ্যালো মেশিন ও বিভিন্ন ধরণের সেচ ব্যবহার করছেন। কিন্তু রোপণের দেড় থেকে দুই মাস অতিবাহিত হলেও মিলছে না বৃষ্টির দেখা। কিছু কৃষক আমনের চারা বাঁচানোর জন্য তাদের নিজস্ব শ্যালো মেশিন ও সেচ দিয়ে পানি দিচ্ছেন।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক শৈলেন চন্দ্র রায় (৪৫), হোসেন আলী (৪০) বীরেন্দ্র নাথ রায় (৫৭), সিমু (৩৫) ও শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের পনির উদ্দিন (৫৫), মইনুল হক (৩৭) জানান, এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আমন ধান বৃষ্টি নির্ভর ফসল হিসাবে পরিচিত। এই ফসল আমরা যুগ যুগ ধরে বৃষ্টির পানি দিয়ে আবাদ করে আসছি। কিন্তু এখন আবহাওয়া বিপর্যয়ের কারণে বাড়তি খরচ করে তারা সঠিক সময়ে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছেন। চারা রোপণে এক থেকে দেড় মাস হলেও এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না থাকায় আমনের জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে আমনের চারা বাঁচানোর সম্ভব হবে না বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও তাপদাহ বিরাজ করছে। ফলে বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে। তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের আমন আবাদে সেচযন্ত্র চালুর পরামর্শ প্রদান করায় কৃষকরা সেচ দিয়েই আমন চারা রোপণ করেছে।
তথ্য সুত্র। দৈনিক ইত্তেফাক/কৃপ্র/এম ইসলাম