কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
কোকো বা কোকোয়া এর বীজ থেকে চকোলেট তৈরি হয়।কোকোয়া দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন উপত্যকার উদ্ভিদ। তবে কোকোয়া চাষ মধ্য আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশে এর সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রায় ৩০টির মতো বীজ থাকে প্রতিটি ফলে।
অনেক জাত আছে কোকোয়ার। কোনো জাতের ফলের রং হয় মোটো লাল আবার কোনোটার গাঢ় হলুদ। পাকা ফলের ভেতরের বীজ বের করে শুকিয়ে তাকে ফারমেনটেশন বা গাজাতে হয়। তারপর তাকে রোস্ট করে গুঁড়া করতে হয়। এর পাউডার থেকেই চকোলেট তৈরি হয়। বছরে দুবার ফল সংগ্রহ করতে
প্রাচীনকালে বহু শতাব্দী ধরে কোকোয়া বীজ এতই মূল্যবান ছিল যে এগুলোকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। দক্ষিণ আমেরিকার প্রাচীন মায়া ও অ্যাজটেক সভ্যতার মানুষজন বিশ্বাস করত, কোকোয়া বীজের জাদুকরী শক্তি আছে।
৭০-৮৫ ভাগ কোকোয়াসমৃদ্ধ চকোলেটকেই বলে ডাকর্ চকোলেট। ঔষধি গুনে ভরা কোকোয়ায় র্য়েছে, লোহা, আশ, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। দিনে অল্প পরিমাণ ডাকর্ চকোলেট খেলেও ৫০ ভাগ পযর্ন্ত হৃদরোগে মৃত্যুুর ঝুঁকি কমে যায়। নিয়মিত চকোলেট খেলে ইনসুলিনের কাযর্কারিতা বাড়ে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও শারীরিক প্রদাহ রোধেও ডাকর্ চকোলেট সহায়তা করে।
কৃপ্র/এম ইসলাম