কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
চুয়াডাঙ্গা জেলার চাষিরা আগাম অটোজাতের শিমের আবাদ করেছেন । ভাল ফলন এবং ভাল দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। অনুকুল আবহাওয়া এবং উঁচু সমতল জমি হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার জমি সবজি চাষের উপযোগী। তাই প্রতিবছর কোন না কোন প্রকার আগাম সবজির চাষ করে থাকেন জেলার কৃষকরা।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭শ ৬৭ হেক্টর জমিতে আগাম অটো জাতের শিম চাষ করেছে চাষিরা। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৫২ হেক্টর, জীননগর উপজেলায় ১২৫ হেক্টর এবং সদর উপজেলায় ২১৫ হেক্টর জমি। চলতি বছর বৃষ্টিপাত থেমে থেমে হওয়ায় অসময়ে শিমের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে।
গ্রামের মাঠে দিকে তাকালে দেখা যায় আবাদযোগ্য জমিজুড়ে শিম আর শিমের মাচা। মাটি থেকে সর্বোচ্চ ৪-৫ ফুট উচু বাঁশের মাচা তৈরি করে আবাদ করা হয়েছে উচ্চ ফলনশীল অটো জাতের শিম। শিম চাষ এলাকাটিকে সাজিয়েছে সবুজের আবরণে।
এখানকার কৃষকদের উৎপাদিত শিম বাজারজাত করতে অন্য কোন স্থানে যেতে হয় না। রাজধানী শহর ঢাকা থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসে তাদের কাছ থেকে শিম কিনে নিয়ে যায়। এছাড়াও কোন কোন কৃষক শিম নিজে তুলে পার্শ্ববর্তী বাজারে বিক্রি করে থাকে। এবছর শিমের বাজার বেশ ভাল। প্রথম দিকে কেজি প্রতি বাজার দর ১শ থেকে ১১০ টাকা হলেও বর্তমানে শিম ৭৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দাম থাকলে শিম চাষিরা বেশ লাভবান হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর জানান, এলাকার জমি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ভুট্টার পরপরই চাষিরা শিমসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে থাকে। সবজি চাষের ব্যাপারে চাষিরা বেশ অভিজ্ঞ। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে এলাকার চাষীদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় আনতে পারলে শিমসহ সবজি চাষ গ্রমীণ অর্থনীতিতে ভালো ভূমিকা রাখবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতার দ্বার খোলা রয়েছে। আর অটো জাতের শিম এটা মানুষের দেয়া নাম।
সুত্র, বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম