কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
ডাকাতিয়া নদী। এক সময় কুমিল্লাসহ চাঁদপুরের বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষের কাছে ছিলো আর্শীবাদ। কুমিল্লা ও চাঁদপুরের প্রাণের স্পন্দন। ডাকাতের মতো সর্বগ্রাসী বলেই এর নামকরণ হয়েছিল ডাকাতিয়া নদী। তবে দখল-দূষণ আর নাব্যতা হারিয়ে সেই উত্তাল ডাকাতিয়া এখন অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। লাখো মানুষের প্রাণের স্পন্দন হিসেবে পরিচিত নদীটি দখল-দূষণে রুগ্ন হয়ে ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে মরা খালে।
এক সময় শুষ্ক মৌসুমেও কৃষকরা ফসল আবাদের সময় পেতো পর্যাপ্ত পানি। ছিলো দেশীয় মাছের প্রাচুর্য। ডাকাতিয়া নদীই ছিলো বহু মানুষের জীবিকার প্রধান মাধ্যম।
ডাকাতিয়া নদীতে বিভিন্ন বর্জ্য ময়লা আবর্জনা নদীটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। নদী দখল, আবর্জনা ফেলা, নদী খনন না করাসহ বেশকিছু কারণেই নদীটি তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে।
ডাকাতিয়া নদী এখন মরা নদী হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। ডাকাতিয়ার বর্তমান অবস্থা এমন যেন এটি কোন নদী নয়, মনে হয় ময়লার ভাগাড়। ময়লার স্তূপ থেকে বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
বাতাসে ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু। পরিবেশ দূষণে মানুষের শরীরেও নানা রোগ-ব্যধি জন্ম নিতে শুরু করেছে। আবর্জনা পঁচে পানির সাথে মিশে মৎস্য সম্পদের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে মাছ নেই বললেই চলে।
ডাকাতিয়া নদী চাঁদপুর সদরের বাগাদী নানুপুর হয়ে প্রবেশ করেছে ফরিদগঞ্জে। এখানকার সদর ও পৌরসভার জন্য নির্ধারিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় নদীতেই ফেলছে ময়লা। এখানকার বাসিন্দারা জানান ‘ডাকাতিয়া সিআরপি বেড়িবাঁধের আগে খুব প্রভাবশালী নদী ছিল। বেড়িবাঁধ হওয়ার কারণে নদী এখন মরা ডাকাতিয়ায় পরিণত হয়েছে।
এখানে পানি বেশি দূষিত হয় শুষ্ক মৌসুমে। তখন কচুরিপানা এবং নানা আবর্জনা পানি দূষিত করে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্তির পথে।
কৃপ্র/এম ইসলাম